নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি ছোট শহর। তবে বহু ভাষাভাষির মানুষের বসবাস এ শহরে। দেশের বৃহত্তর রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরে। আর এ সুবাদে সৈয়দপুরে হরিজন সম্প্রদায়ের বসবাস। তারা ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করতো। এদের চাকুরীর পদটি ছিল ঝাড়ুদার। এরা কাজ শেষে সবাই মিলে মদ পান করতো। বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠান হলে এদের আপ্যায়ন স্বরুপ মদের আসর বসতো।
আর এদের কারণেই মুলত সৈয়দপুরে সরকারী লাইসেন্সধারী একটি মদের ভাটি রয়েছে। একটি নির্দিষ্ঠ সময় এরা নারী পুরুষ ওই ভাটিতে গিয়ে মদ পান করে মাতাল হয়ে বাসায় ফিরত। আজও সেই মদের ভাটি রয়েছে সৈয়দপুরে। এদের দেখাদেখি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে হিন্দু,মুসলিম,বিহারী বাঙ্গালি। এর কারণে ক্রমান্বয়ে এ শহরে প্রবেশ করে হিরোইন,ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবা। পুলিশ প্রশাসন এগুলো দমনে অনেকটা ব্যর্থ। মনে হয় দিন দিন সৈয়দপুরে মাদক ব্যবসায়ি এবং সেবনকারী বেড়েই চলছে।
১৬ নভেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নীলফামারী কর্তৃক পরিচালনা করা হয় মাদক বিরোধী টাক্সফোস অভিযান। এটি চলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে। এতে সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর থানার পুলিশ ফোর্স। অভিযান পরিচালনা করা হয় সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর বকসাপাড়ায়। এতে মাদকসহ আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জীবন (৩৭) মো: সাজু ইসলাম (২৮) ও পুত্রবধূ মোসাম্মৎ লতিফা (৩২) কে তাদের বাড়ি থেকে ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায় এরা চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ি। এদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নীলফামারীর পরিদর্শক মো: শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।