মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উদ্দ্যেশে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন ছেড়ে গেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর ট্রেনটি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন ছেড়ে যায় জাদুঘর ট্রেনটি। শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানান।
বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর ট্রেনটি গত ১২ নভেম্বর সকাল ৯:৪০ মিনিটে সিলেটগামী ৯ আপ সুরমা মেইল ট্রেনে করে শ্রীমঙ্গল এসে পৌছে।
ওইদিন শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। জাদুঘর দেখতে সাধারন মানুষসহ স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী. শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল লক্ষনীয়।
১৬ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৫ দিন জাদুঘরটি শ্রীমঙ্গল স্টেশনে অবস্থান করার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় কুলাউড়ার উদ্দ্যেশে যাত্রা করে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জাদুঘরটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত কুলাউরা অবস্থান করে কুলাউরা থেকে রেল জাদুঘরটি সিলেট যাবে। সিলেটে ট্রেনটি ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে।
রেলসূত্র আরও জানায়, গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে এ জাদুঘর উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগস্টের প্রথম দিন থেকে দেশের নানা প্রান্তে যাচ্ছে রেলের এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর।
সরজমিন জাদুঘরে গিয়ে দেখা যায়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিটি বেশ সুন্দর পরিপাটি। বগিতে উঠতেই কানে আসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। দরজার পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত মুজিব শতবর্ষের লোগো। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন-আন্দোলন, সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে। জাদুঘরে স্থান পেয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার বাবার বাড়ি, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ছবি। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চশমা, দলীয় প্রতীক নৌকা, মুজিব কোট, মুজিব শতবর্ষের লোগো এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা বই, মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ প্রভৃতি বিষয় স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া জাদুঘরটিতে তৈরি করা হয়েছে একটি বুকশেলফ। সেখানে শোভা পাচ্চে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়াচীনসহ তার কর্মময় জীবনের ওপর রচিত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বই।
রেলসুত্র জানায়, এ জাদুঘর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ নির্মাণ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানলে তাদের মধ্যে দেশকে নিয়ে আরও জানার আগ্রহ বাড়বে।