নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি আমজাদ হোসেন শিপু (২৬) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে। ওই হামলা ও দেষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জয়নগর ও মজুমদারহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের জয়নগর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে। পরে স্থানীয় লোকজন শিবলুকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ ভর্তি করান।
এঘটনায় শিপু বাদী হয়ে সাবেক ইউপি চেয়াম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ প্রকাশ ল্যাংড়া হারুনের (৪৫) শিবির নেতা ছানা উল্যাহ (৩২), রাজু (২৮), কামরুল (২৭) ও জামায়াত নেতা সুন্দর হারুন (৪৪)সহ ৬জনের নামে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনী।
হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা শিপু বলেন,বীজবাগ ইউনিয়নের জয়নগর উচ্চবিদ্যালয় এলাকা হচ্ছে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকায় অতীতে কেউ জোরালে ভাবে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড চালাতে পারেনি। তিনি ওই এলাকায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মিরা। বুধবার সন্ধ্যার দিকে জয়নগর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলা দেখে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে সাবেক ইউপি চেয়াম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ ওরফে ল্যাংড়া হারুনের (৪৫) নেতৃত্বে ৮-১০জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মি তার পথরোধ করে। এরপর অস্ত্রধারী শিবির নেতা ছানা উল্যাহ (৩২),রাজু (২৮), কামরুল (২৭) ও জামায়াত নেতা সুন্দর হারুন (৪৪) আমার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ছানা উল্যাহ ধারারো কিরিচ দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে তার শৌরচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা তাকে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ ওরফে ল্যাংড়া হারুন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ছানা উল্যাহ কে গত দুই মাস ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মিরা তার বাড়িতে থাকতে দিচ্ছেনা। সে গতকাল একটি মামলার হাজিরা দিতে এলাকায় আসে। তখন ছাত্রলীগের ২৫-৩০জন নেতাকর্মি তার উপর হামলা চালায়। ওই সময় তাদের স্ট্যাম্পের আঘাতে ছাত্রলীগ নেতা শিপু মাথা পেটে যায়। ছানা উল্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্রগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।