কেশবপুরে ১৬ টি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের মধ্যে ১৩ টিই অবৈধভাবে চলছে। এসব স্কুল নবায়নের আওতায় না আসলে শিক্ষার্থীদের সরকারি বই দেয়া হবে না বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকে স্কুলগুলোই শুরু হয়েছে দৌঁড়ঝাপ। আগামী ১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত বই উৎসবে স্কুলগুলোর সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর হাতে সরকারি বই উঠবে কিনা তানিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠে ১৬ টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল। এর মধ্যে হালনাগাদ রেজিষ্টেশন আছে াআল আমিন মডেল একাডেমি এবং সূচনা প্রিক্যাডেট ও কসমিক প্রি ক্যাডেটের স্কুলের প্রাথমিক অনুমোদন রয়েছে বলে জানা গেছে। কেশবপুর উপজেলার শহরে রয়েছে আল আমিন মডেল একাডেমি, সূচনা প্রি-ক্যাডেট স্কুল, কসমিক প্রি-ক্যাডেট স্কুল, কপোতাক্ষ আইডিয়াল একাডেমি, সানিডেল প্রি-ক্যাডেট স্কুল ও বাংলা মডেল একাডেমি। এছাড়া, শহরের বাইরে রয়েছে ত্রিমোহিনী কথা প্রি-ক্যাডেট স্কুল, মঙ্গলকোট সবুজ শিক্ষা নিকেতন প্রি-ক্যাডেট স্কুল, পাঁজিয়া এডাস প্রি-ক্যাডেট স্কুল, সাতবাড়িয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল, হাসানপুর প্রি-ক্যাডেট স্কুল, চাদড়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল, সাগরদাঁড়ি ছবি প্রি-ক্যাডেট স্কুলসহ ১৬ টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল। এসব স্কুলে অধ্যায়নরত রয়েছে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী। এরমধ্যে শহরের আল আমিন মডেল একাডেমির হালনাগাদ রেজিষ্ট্রেশন আছে। সূচনা প্রি-ক্যাডেট স্কুল ও কসমিক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রাথমিক অনুমোদন রয়েছে বলে জানা গেছে। কেশবপুর শহরে অবস্থিত কপোতাক্ষ আইডিয়াল একাডেমির প্রাথমিক অনুমোদন না থাকলেও চলছে বহাল তবিয়াতে। তবে স্কুলের পরিচালক আজাহারুল ইসলাম বলেন, অনুমোদন পাওয়ার জন্যে তিনি খুলনা উপ পরিচালকের কার্যালয়ে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
আল আমিন মডেল একাডেমির পরিচালক আবদুল গফুর বলেন, তার স্কুল উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৫ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় ১৮ জন শিক্ষার্থী বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছিল। যা উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করে।
করোনায় ২ বছর বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে সূচনা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, যেসব কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রাথমিক অনুমোদন নেই, তাদেরকে ৫ মাস আগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নবায়ন করার কথা বলা হয়েছিল। আমার স্কুলের প্রাথমিক অনুমোদন রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল জব্বার সাংবাদিকদেও বলেন, গত ১৪ নভেম্বর উপজেলার সকল কিন্ডার গার্টেন স্কুলগুলো ডাকা হয়েছিল। এ সময় তাদের সরকারি পরিপত্র ও গেজেট পড়ে শোনানো হয়। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব স্কুল সরকারের অনুমোদন নিতে ব্যর্থ হলে তাদের সরকারি বই দেয়া হবে না বলে তাদের তে অবহিত করা হয়েছে।