রংপুরের পীরগঞ্জে সহজসরল প্রকৃতির দরিদ্র এক ব্যক্তি কে অহেতুক হয়রানী করতে মামলার আসামি বানানো হয়েছে। প্রকৃত আসামি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ করেছ। মামলার ইজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯১৩ সালে উপজেলার চন্ডিদুয়ার গ্রামের মৃতঃ সমেস উদ্দিনের ছেলে ইছুব আলীকে ৪ মার্চ চতরা হাট থেকে বাড়ি ফেরা পথে রাত ১১ টায় চন্ডিদুয়ার গ্রামের কাছে আবদুর রাজ্জাকসহ ২/৩ জন পথরোধ ও মারপিট করে। অই রাতেই স্থানীয় লোকজন লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল পাঠায়। এ বিষয়ে ১০ মার্চ ১৯১৩ ইং মহিলাসহ ৪ ব্যক্তি কে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা ০৬। আসামি বকুল মিয়া বলেন, ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত ছিলেন না তিনি, তার পরেও তাকে মামলার করে উদ্দেশ্যমুলক হয়রানি করছে বাদি পক্ষ। ঘটনার রাতে আহত উছুব আলী কে ঘটনা স্থলে দেখতে যায় বকুল। তার শশুরের সাথে পারিবারিক আত্মীয়তার বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার কারণে তাকে হয়রানি করতেই মামলার ৪ নং আসামি বানানো হয়েছে। ১৯১৩ সাল থেকে এই মামলায় হয়রানি হয়ে আসছে বকুল। তিনি এ উদ্দেশ্যমুলক হয়রানির হাত থেকে পরিত্রান পেতে চায়। এছাড়াও বাদির সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখেছে সে। তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া দরকার বলে স্বীকার করেছে বাদি উছুব আলী। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানায়,এই ঘটনায় বকুল মিয়ার শশুরসহ তার পরিবারের লোকজন কে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলাটির প্রধান আসামি আবদুল রাজ্জাক মিয়া তার মেয়ে জামাই হিসেবে নিরীহ বকুল মিয়াকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা হবার পর আবদুর রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে বকুল মিয়া কে ডিভোর্স দিয়ে অন্য ছেলের সাথে এখন ঘর করছে। তবে এলাকার লোকজন বলছেন, ঘটনার পর থেকেই ৩ আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে। বকুল মিয়া বছরের পর বছর আদালতে যাতায়াত করছেন। বাদি উছুব আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বকুল মিয়া ঘটনার জড়িত ছিল না। মামলাটি করার সময় তিনি মেডিকেল ছিলেন। বকুল মিয়া ঘটনার সময় শশুর রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে ছিল। এজন্য তাকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন মামলাটি তার বাড়ির লোকজন করেছে। যে কারণে বকুল মিয়ার নামও আসামির তালিকায় রয়েছে। তবে সে গরীব মানুষ তার নাম বাদ দেয়ার জন্য এখনও চেষ্টা করছে বাদি উছুব আলী।