পিরোজপুরের নাজিরপুরে আ.লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গুলি বিনিময় ও হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে মো. রশিদ শেখ (৪২) নামের এক যুবলীগ নেতা সহ উভয় গ্রুপের ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে (সন্ধ্যার আগে) নাজিরপুর সরকারী মহিলা কলেজ মাঠে। হামলা সংগঠিত হয়েছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম গ্রুপ ও জেলা আ.লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল গ্রুপের মধ্যে। হামলায় মন্ত্রী গ্রুপের উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. রশিদ শেখ (৪২), জুয়েল শেখ (১৮), মেজবাহ হাওলাদার (৩০), সোহাগ মৃধা (৪০), আখতারুজ্জামান শিকদার (৫৫), সুবোধ মিস্ত্রী (৪২), এনামুল শেখ টুকু (২৬), জাকারিয়া বেপারী (৩০) ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম তাপস (৩৫), নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার (৫৫) এবং আউয়াল গ্রুপের শাওন (৩০), নিক্সন (২৩), জাকির হোসেন (২৮) সহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুলিতে আহত রশিদ শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার কৌশিক সাহা জানান, আহত ৯ জনকে চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় আহত প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস জানান, সন্ধ্যার কিছু আগে কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি গঠনের জন্য বঙ্গমাতা কলেজের দোতালার একটি কক্ষে বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। এ সময় আমরা ওই ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম। ওই সময় পিরোজপুর থেকে জেলা আ.লীগের সভাপতি সহ অন্যান্যের সাথে আসা ক্যাডার বাহিনীর এক যুবক তার সাথে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়ে। ওই গুলিতে যুবলীগ নেতা রশিদ আহত হন। একই বক্তব্য আহত রশিদেরও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা মাইক্রো বাস ভাংচুর সহ প্রতিপক্ষের ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর করা হয়। নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, আমি কাউকে গুলি করতে দেখি নি। তবে গুলি করা হয়েছে বলে কয়েকজনে চিৎকার করে দৌড় দেয়। পরে হামলা ও সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। এর আগে উপজেলা সদরের সরকারী মহিলা কলেজ মাঠে উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি মাস্টার মনিন্দ্র নাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা এ্যাড. আফজাল হেসেন। আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি, আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাড আমিরুল আলম মিলন, মো. আনিসুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক মো. মোশারেফ হোসেন খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল। সম্মেলনে উপজেলা আ.লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খানকে সভাপতি ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক আশুতোষ বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি অনুমোদন করা হয়।