কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলাটি ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। সেই উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষ লোক বসবাস করে আছে। হাওরের ইউনিয়ন কমিনিউটি ক্লিনিকগুলো কোন কোন ক্লিনিকে জনবল সংকটের কারণে মাঠকর্মীরা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার রোগীর সিটগুলো ময়লাযুক্ত হয়ে রয়েছে। এসব কারণে আগত রোগীরা মাঝে মধ্যে সেবা নিতে এসে নিরুৎসাহিত হয়ে উঠেন। আগে যেখানে রোগীর সংখ্যা ১ শত থেকে ১৫০ জন রোগী হতো। বর্তমানে ময়লাযুক্ত সিটগুলো ভরে নিচের ফ্লোরে পর্যন্ত রোগী হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে। ভর্তি রোগীদের খাবারের মান খুব একটা ভালো নয় বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানাগেছে। ডাক্তাররা জানান, পূর্বে এই হাসপাতালে বিভিন্ন রোগীদের পরীক্ষার জন্য বাহিরে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে রোগীরা এই সেবাটা হাসপাতালেই পাঁচ্ছে। এইদিকে এই সরকারি হাসপাতালে পূর্বে ৩৩ বেডের থেকে বর্তমানে ৫০ বেডে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু সেবার মান আগের চেয়ে নিম্ন দিকে যাচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। সোমবার একদল সংবাদকর্মী হাসপাতালে গেলে রোগীরা জানান, হাসপাতালের বেডের অবস্থা খুবই নাজুক। অনেক সময় বেডের মধ্যে ময়লাযুক্ত থাকার কারণে তারা ফ্লোরে থাকেন বলে উল্লেখ করেন। নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা সজিব ঘোষ এই প্রতিবেদক হাসপাতালের নার্সদের সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যদি প্রসূতী মায়েদের নিকট থেকে কোন নার্স অর্থ আদায় করে থাকে, তাহলে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে উল্লেখ করেন।