বগুড়ার শেরপুরের বনমরিচা দক্ষিনপাড়া গ্রামে প্রেমিকার দৈহিক সম্পর্কের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ার ঘটনায় আত্মহত্যা করেছে নবম শ্রেনির ছাত্রী কণিকা খাতুন(১৪)। এ ঘটনায় পিতা বাদি হয়ে ২১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাযের করেন।
জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের বনমরিচা দক্ষিরপাড়া গ্রামের আবদুল করিমের মেয়ে হাপুনিয়া মহাবাগ উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্রী কণিকা খাতুনের সাথে একই ইউনিয়নের দশমাইল দড়িপাড়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল মানিকের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের একপর্যায়ে কনিকাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সাথে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক করে এবং মানিকের মোবাইলে ওই দৃশ্যগুলো গোপনে ভিডিও ধারণ করে। এরই একপর্যায়ে গত ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাত ২ টার দিকে কনিকাদের বাড়িতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে কণিকা না করে এবং বিয়ের চাপ দেয়। এতে মানিক ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বে ধারণকৃত শারীরিক মেলামেশার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এতে কণিকা সম্মান হারানোর ভয়ে ১৮নভেম্বর বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত ১২টার দিকে সে মারা যায়। এই ঘটনায় কনিকার পিতা মো. আবদুল করিম বাদি হয়ে ২১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে আবদুল মানিকের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপােের শেরপুর পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লাল মিয়া অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।