খুলনার পাইকগাছায় আবার্ স্কুলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর এ নিয়ে চুরি যেন নিত্য ব্যাপার হয়েছে। একের পর এক চুরির ঘটনায় এলাকায় চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। থানা পুলিশ চুরির সাথে জড়িতদের আটক ও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে না পারার জনমনে চুরি শঙ্কা বাড়ছে। শীত শুরু হতেই চোরে যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ১৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার গদাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর স্কুলের একটি পানির মটর, বিদ্যুৎ এর তার ও নির্মাণাধীন ভবনের ১২টি পানির ট্যাব, টুলবক্স ও দেড় কয়েল মোটা তার চুরি করে নিয়ে গেছে। ১৮ নভেম্বর দিবাগত রাতে গদাইপুর ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকের উত্তর পাশের জানালার গ্রিলের পাত ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দরজার তালা ভেঙ্গে সোলার প্যানেলের ২টি ব্যাটারী, ১১টি বৈদ্যুতিক বাল্ব, ১৫টি পানির ট্যাপ এবং ১টি কাঠের তৈরি দান বাক্স এর টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ১৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে ২৫নং গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি হয়েছে। বিদ্যালয়ের দুইটি ভবনের ৫টি তালা ভেঙ্গে চোরেরা দুটি সোলার প্যানেলের ব্যাটারি, পানি উত্তোলনের মটর, টয়লেটের প্রায় ৩০টি ট্যাব, পাইপ ও পাশে মন্দিরের টিউবওযেরের মাথা চুরি করে নিয়ে গেছে। এর আগে ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার ইকবাল মন্টু’র শিববাটী ব্রিজ সড়ক সংলগ্ন বাড়িতে বারান্দার লোহার গেট ও ঘরের দরজা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ প্রায় দশ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে ও ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে রেখে যায়। এর আগে চাঁদখালী ও লতা ইউনিয়নে চুরি ঘটনা ঘটে। এ চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। এসব চুরির ঘটনায় থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, চুরির সংগে জড়িত চক্রটিকে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।