সাবেক তথ্য সচিব ও বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেছেন -- ভারত সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রায় ২ কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল, ভরণপোষণ এর জন্য ব্যয় করেছে বিপুল অর্থ। দীর্ঘ ৯ মাস কঠিন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম সফল করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর মতো একজন মহীয়সী নারী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকায়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মাসিক ধানসিঁড়ি পত্রিকার ১১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ইন্দিরা গান্ধীর ১০৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনহাজ উদ্দিন, ধানসিঁড়ি'র প্রধান সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল হক চাষী, সংগীত শিল্পী পলক রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, অ্যাডভোকেট রবিউল হোসেন রবি, লোকনাথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সমাজসেবী শৈলেন্দ্রনাথ রায় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে মহীয়সী ইন্দিরা গান্ধীর অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে মনে রাখবে বাংলাদেশের জনগণ। আর যারা এই অবদানকে স্বীকৃতি দিতে চায় না এখনো তারা এই দেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার দিবাস্বপ্নে বিভোর।