নোয়াখালীর সেনবাগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে রতন চন্দ্র সুত্রধর (৩৪) নামের এক ভূয়া ডাক্তারকে ৫০হাজার টাকা মেয়াদ উত্তিন্ন খাদ্র সামগ্রী বিক্রির অপরাধে আমানিয়া বেকারী নামের এক প্রতিষ্ঠান মালিককে ৭হাজার টাকা সহ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ও সেনবাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। ভূয়া ডাক্তারের বাড়ি সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামে। সেওইগ্রামের দশরাজ সুত্রধরের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে সেনবাগ উপজেলার কানকিরহাট বাজারে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়া ও সেনবাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) তাজমিন আলম তুলি ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেনা জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্ট শওকত আলী ও সেনবাগ থানার একদল পুলিশ।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়া ও সেনবাগ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজমিন আলম তুলি জানান, সেনবাগ উপজেলার কানকির বাজারের মেডিসিন কর্নার নামের একটি ঔষধের দোকান মালিক রতন চন্দ্র সুত্রধর নিজেকে সর্বরোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ভিজিটের বিনিময়ে রোগীদের দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো। বিষযটি জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের নজরে এলে তারা মঙ্গলবার সেনবাগ উপজেলা সহকরাী কমিশনার ভূমিকে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। ওই ভূয়া ডাক্তারকে ৪০ হাজার টাকা ও মেয়ার উত্তিন্ন এবং স্যাম্পলের ওষুধ বিক্রির অপরাধে আরো ১০ হাজার টাকা সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। একইদিন ওই বাজারের আমানিয়া বেকারীতে অপর অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রি এবং ওজনে কম দেওয়া ওই প্রতিষ্ঠানকে ৭হাজার টাকা জরিমানা করে।