গাজীপুর কাপাসিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাইকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তারই ছোট ভাই রহিম মোল্লা ওরফে মামলাবাজ কাজলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছেন তার আপন বড় ভাই মনিরুজ্জামান। তারা উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দড়িমেরুন গ্রামের মৃত ওয়ারেজ আলীর ছেলে।
জানা যায়, ওয়ারেজ আলী মৃত্যুর আগে ২শত ৭১ শতাংশ জমি দুই ছেলে মনিরুজ্জামান, কাজল, দুই মেয়ে হোসনেয়ারা ও বিলকিস বেগমের মধ্যে জমি বন্টন মূলে দখলদার রেখে যান। কিন্তু বড় ভাই মনিরুজ্জামান হঠাৎ প্যারালাইসিস হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী হলেই তার জমি দখলের ফন্দি আঁটেন ছোট ভাই কাজল। এরই কৌশল হিসেবে ভাই মনিরুজ্জামান, তার স্ত্রী মিনারা বেগম, মেয়ে ফাহিমা, পুত্রবধূ সাবিনা ইয়াসমিন, মেয়ের জামাই উমায়ের আল হাবীব ও বেলাল হোসেনসহ তাদেরকে একে একে দেওয়া হয় ৮টি মামলা। টাকার বিনিময়ে একই ব্যাক্তিরা অধিকাংশ মামলার স্বাক্ষী দাতা। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভূমি রেকর্ড ও জমি জরিপ অধিদপ্তরে ডি-ম্যান পদে কর্মরত কাজলের নামে রয়েছে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ। নিজ গ্রামে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী করেছেন আলিশান বাড়ি। গাজীপুর মহানগর তেলিপাড়ায় রয়েছে দামী প্লট। কালীগঞ্জের চুপাইর শশুর বাড়িতে ক্রয় করেছেন একাধিক বিঘা জমি।
এ বিষয়ে মিনারা বেগম বলেন, স্বামীর প্যারালাইসিস হওয়ার পর থেকেই তার জমি জোর দখলের চেষ্টা চালায় দেবর কাজল। কোটি কোটি টাকায় নির্মিত আলিশান বাড়ি, প্লট ও জমি থাকার পরও আমার স্বামীর সম্পত্তি কেন জবর দখলের চেষ্টা, তার কারণ জানতে চাইলেই পরিবারের সবাইকে একে একে দেওয়া হয় মিথ্যা মামলা গুলো। এমনকি মামলা থেকে রেহাই পাননি অসুস্থ স্বামী, সন্তান ও মেয়ের জামাই।
উমায়ের আল হাবীব জানান, চাচা শশুর কাজল আমার শশুর অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তার জমি জবর দখলের চেষ্টার কারণ জানতে চাইলে আমাকে এবং আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেওয়া হয় পাঁচটি মামলা। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে সব মামলা দেওয়া হয় তাতে ইমাম ও শিক্ষক হিসেবে আমি লজ্জিত।
এ ব্যাপার রহিম মোল্লা কাজল বলেন, দুটি মামলা প্রসেসিং সহ ৭টি মামলা চলমান আছে। আমার পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে আরও মামলা করা হবে। সামান্য বেতনের চাকরি করে কি ভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন জানতে চাইলে সবকথা আপনাকে বলতে হবে না, আমার সম্পদের তদন্ত হয়ে গেছে বলে ফোন কেটে দেন তিনি। একাধিক বার কল দিলেও আর রিসিভ করেননি।