কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রধান বাজার জোড়গাছ হাটে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সপ্তাহের রোববার ও বুধবার হাট বসে। উপজেলার চরাঞ্চলের চিলমারী, অষ্টমীর চর, নয়ারহাট, পাশ্ববর্তী রৌমারী, রাজীবপুর, সুন্দরগঞ্জ, রাজারহাট, উলিপুর, বড়বাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ খাদ্য শস্য, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী, পাট, পাট খড়ি, কাঁশ খড়, তরিতরকারী ইত্যাদি পন্য সামগ্রী বেচা-কেনা করতে আসেন। কোন প্রকার নিয়ম নীতি ছাড়াই ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন চালান ছাড়া ক্রেতা- বিক্রেতার নিকট অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে আসছেন। বুধবার সরেজমিনে জোড়গাছ হাটে গরুর হাটিতে গিয়ে দেখা যায়, নয়ারহাট ইউনিয়নের ফেইচকার চর হতে আসা বিক্রেতা মোঃ আবু সাঈদ দুটি গরু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিক্রিয় করেছেন। প্রতিটি গরুর জন্য ক্রেতার নিকট থেকে চালান মুলে ৪শত টাকা এবং বিক্রেতার নিকট থেকে চালান ছাড়া ২শত টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। আরও গরু বিক্রেতা অষ্টমীর চরের মহিজল হক, চিলমারী ইউনিয়ন থেকে আসা পাট বিক্রেতা আমিনুল হক জানান কোন দ্রব্যের সরকারিভাবে নির্ধারিত খাজনা কত তা আমাদের জানা নেই। ইজারাদার ইচ্ছামত ক্রেতা বিক্রেতার নিকট থেকে অন্যান্য হাট-বাজারের তুলনায় অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে চলেছেন। এতে আমরা ক্রেতা বিক্রেতারা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। প্রতি বছর একই ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মৃত আবদুল আজিজ ব্যাপারীর ছেলে রুহুল আমিন হাট বাজারটির ইজারা নিয়ে থাকেন। এবারও একই ইজারদার প্রতিষ্ঠানের মালিক ১৪২৯ বাংলা সনের জন্য ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় হাটটি ইজারা নেন। হাটে কোন স্থানে নির্ধারিত খাজনা আদায়ের সাইনবোর্ড না থাকায় ও অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ব্যাপারে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হাটের ইজারা মুল্য এবারে বেশি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, হাটে সরকার নির্ধারিত মুল্যে খাজনা আদায় করতে হবে।