দাকোপে পানখালীতে পশুর নদী তীরে ভাঙনে ২শ’ মিটার বাঁধসহ ১৫টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি ঢুকে খলিশা ও পানখালী গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঝুঁকির মুখে আমন ফসল। ভেসে গেছে অর্ধশত পুকুরের মাছ। সরেজমিন তথ্য সংগ্রহে জানা গেছে, পাউবো’র ৩১নং পোল্ডার তথা দাকোপ উপজেলা সদর পানখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে মোড়ল বাড়ী এলাকার বাঁধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ফাঁটল দেখা দেয়। তখন এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার ভোর রাতে ঝুঁকিপূর্ন বেঁড়িবাঁধের ২শ’ মিটার পশুর নদী গর্ভে বিলীন যায়। এ ঘটনায় বাঁধ এলাকার ১৫টি বসত ঘরবাড়ি ও নানা স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন চলে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, তাপস রায় (প্রতিবন্ধ), পরিমল রায়, অনুরূদ্ধ রায়, মহাদেব কুমার রায় ওরফে ছোট মহাদেব, কিংকর রায়, শংকর রায়, মহাদেব রায়, অমল কৃষ্ণ রায়, মলয় রায়, প্রণয় কুমার রায়, জ্যোতিশংকর রায়, প্রভাত রায়। ক্ষতিগ্রস্থদের অবশিষ্ট মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জোয়ারের পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ফলে বড় খলিশা ও পানখালী গ্রামের প্রায় শতাধিক বসতঘর বাড়ি তলিয়ে গিয়ে সহস্রাধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। কৃষকের প্রায় এক হাজার বিঘা পাকা আমন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুধবার দুপুরে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি। তিনি তাৎক্ষনিক পাউবো কর্মকর্তাদের ভাঙ্গন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্ াগ্রহনের নির্দেশ দেন। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে সহয়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ানম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস, পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল কাদের, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদী হাসান খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুুুল কাদের, ইউপি সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য জ্যোতিশংকর রায়, পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী মোঃ তাহমিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাউবোর তত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শফিউদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম, উপণ্ডবিভাগীয় প্রকৌশলী সুজয় কর্মকার উপস্থিত ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে ভাঙন দীর্ঘস্থায়ী হলে পুরো ৩১ নং পোল্ডার তথা পানখালী, চালনা পৌরসভা এবং তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের আংশিক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।