গত মাসে ঘূর্নিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে থোরমুখী আমন ধানের ক্ষতি হওয়ায় জেলার চর রাজিবপুর কৃষকদের আমন ধানে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মাঠে আমন ধান পেঁকে গেলেও কৃষকদের মুখে যেন হাসি নেই। রয়েছে হতাশার ছাপ। বৃহস্পতিবার রাজিবপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন আমন ধানের ক্ষেতে গিয়ে কৃষকদের হতাশার ছাপ দেখা গেছে।
মাঠে গিয়ে কথা হয়,প্রান্তিক চাষী সোনাহার হোসেন এর সাথে। তিনি জানান,আমি দেড় বিঘা জমিতে আমন লাগিয়েছি। গত মাসের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আমার পুরো থোরমুখী আমন ধানের ক্ষেত। ধান কাটছি ,কিন্তু ধানের মাথা নেই। নিচে পচেঁ গেছে। ্অধিকাংশ আটিতে শুধু চিটা লক্ষ করা যাচ্ছে। আমার ধানের খরচা উঠবে না। আমার আমন ধানে লোকসান হবে।
বালিয়ামারী মন্ডল পাড়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, ঝড়ে আমার ২ বিঘা জমির ধান মাটিতে মিশে যায়। গত বার ২ বিঘায় ধান পেয়েছিলাম ৫০ মণ। এবার ২০ মণের বেশি হবে না।
মাঠে এ রকম শত কৃষকের আহাজারি। আমরা এবার ক্ষতির গ্রস্থ হলাম। চর রাজিবপুর কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ বছর ২৪ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করা হয়েছে। বন্যা ও সিত্রাং এর প্রভাবে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।