শেরপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য। সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ১৫ জনকে আজ ২৩ নভেম্বর বুধবার বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে জামিন না মঞ্জুর করে তাঁদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তানভীর কবির খান রিয়াদ, মো. বিপুল মিয়া, মো. মোক্তার আলী, সুমন মিয়া, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. খোকন মিয়া, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মন্টু মিয়া, মো. খালেকুজ্জামান আসিফ, মো. আলম মিয়া, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আবদুল মালেক, মো. খোরশেদ আলম, মো. সোলাইমান ও মো. দুলাল হোসেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বছির আহমেদ বাদল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলের ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতানামা আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিওচিত্র দেখে এ মামলায় ইতোমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্যের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ২৩ নভেম্বর বুধবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে জামিন না মঞ্জুর করে আদালত তাঁদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ছয় পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২২ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে।