খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বারাকপুর বাজারের চরম দন্যতা। সাবেক সন্ন্যাসীর হাট বর্তমানে বারাকপুর বাজার নামে পরিচিতি।
বর্তমানে এই বারাকপুর বাজারে খুলনা জেলার বৃহত্তর পাইকারী পান-সুপারির হাট বসে। প্রতিদিন সকাল ১১টা বাজার সাথে সাথে দিঘলিয়া উপজেলাসহ যশোর ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পান চাষীরা পান-সুপারী নিয়ে ভিড় জমায় ওই হাটে। পাইকারী ক্রেতারা খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে এই বারাকপুরের পান-সুপারির বাজারে। ক্রেতা-বিক্রেতারা এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন, ওই বারাকপুরের পাইকারী পান-সুপারির বাজার বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। জায়গার স্বল্পতা, পায়খানা করার নির্দিষ্ট কোনো সু-ব্যবস্থা নাই। বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। মাছের বাজার ও কাঁচা তরি-তরকারির বেচাকেনার জায়গায় গাদাগাদি করে বসতে হয়। পানের বোঝা মাথায় নিয়ে চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তাও নেই।
উক্ত বাজারের ভূমি অফিসের পুরাতন বিল্ডিংয়ের বারান্দা দখল করে চলছে বেচাকেনা। ওই বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গাজী নাসির উদ্দিন মাহমুদের নিকট বাজারের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ২০১৮ সালে এই পাইকারি পান-সুপারীর ক্রেতা ও বিক্রেতারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসে আমাদের এই বাজারে কিন্তু জায়গার সুব্যবস্থা করা সম্ভব হয় নাই। ওই জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করতে বিভিন্ন সমস্যাসহ নানান জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ প্রতিনিয়তই ওই বারাকপুর বাজারটির জায়গা কিছু ব্যক্তি মালিকানা ও কিছু জায়গা সরকারি হওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। বারাকপুর বাজার বনিক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম গাজী জাকির হোসেনের সময়কালে কিছু সহিংসতার কারণে বারাকপুর বাজারের উন্নয়ন হয়নি বলে কেউ কেউ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বাজারের পুরাতন অযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন অবকাঠামো তৈরি করা হলেই তখন বাজারের প্রত্যেক দোকানদারের সকল সমস্যা দূর হবে। দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের নিকট দাবী বারাকপুর বাজারের সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হোক। পাইকারী পান-সুপারীর ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিস্তীর্ণ জায়গা দেওয়াসহ সকল সমস্যা লাঘব করা দরকার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দাবি অচিরেই বাজারের সকল চিহ্নিত সমস্যার সমাধান করে বাজারের পরিবেশ সুন্দর করে গড়ে তোলা হোক।