ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের পৈতৃক ভিটির স্মৃতি রক্ষার্থে সভা করেছেন সরাইল ইতিহাস সংরক্ষণ পরিষদ। শুক্রবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মেলন কক্ষে সংগঠনটির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ৪০-৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ি, সাহিত্য সংস্কৃতি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রশাসনের নিষেধ সত্বেও ওই বাড়ির সামনে চলমান ইমারত নির্মাণের কাজ পরিস্থিতি ঘুলাটে করতে পারে বলে আলোচনায় এসেছে। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত বিভাগকে এ বিষয়ে দ্রƒত সিদ্ধান্ত নেয়ার আহবান জানিয়েছেন সরাইলের এই সংগঠনটি। সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা ইতিহাস সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সহসভাপতি ও সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, সহসভাপতি আবুল কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক ও সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম দুলাল, সাপ্তাহিক পরগণার প্রকাশক সৈয়দ কামরূজ্জামান, অর্থসম্পাদক ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল, কৃষকলীগের সভাপতি ও সাংবাদিক মো. শফিকুর রহমান, শিক্ষক বেলাল শামস্, মো. সামছুল আলম, সরাইল উদীচীর সম্পাদক সুমন পারভেজ, দেওয়ান রওশন আরা লাকী, সাংবাদিক মোহাম্মদ মাসুদ, ন্যাপ নেতা মো. আবদুল জব্বার, ব্যবসায়ি ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব এস কে সজল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জাকির খান প্রমূখ। সভা শেষে সভাপতি সম্পাদকসহ সকলেই ইউএনও কে জানান, ওই জায়গার দলিলে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। নিষেধ অমান্য করে কাজ চলমান থাকলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। কারণ এই বিষয়টিকে ঘিরে স্থানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন সংগঠন এখন আস্তে আস্তে ক্ষীপ্ত হচ্ছেন। অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ঘটলে তাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে। ইউএনও কথা গুলো গুরূত্ব সহকারে শুনেছেন। কাজ বন্ধ রাখা এবং পরবর্তীতে স্থায়ী সমাধানের পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, বৈধ অবৈধ পরে। কোন রকমে পিলার গুলো দাঁড় করিয়ে গাতনি দিতে পারলেই হলো। উল্লাসকর দত্তের বাবার পরিত্যাক্ত ভিটিটি রাতের বেলা বেকু দিয়ে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, গত শুক্রবারে (১৮ নভেম্বর) কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। এখন কাজ করার কথা না। তারপরও খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। আগামী রোববার ডিসি স্যারের সাথে জেলায় সভা আছে। সেখানেই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিব।