বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণা ও স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে কুমিল্লা শহর। সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠে জায়গা না পেয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে নগরীর প্রবেশপথ টমিছম ব্রিজ, শাসনগাছা ও রাজগঞ্জ সড়কে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হচ্ছেন। খ- খ- মিছিল নিয়ে স্লোগান দিয়ে টাউন হল মাঠে ঢুকছেন তারা।
ইতোমধ্যে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা উপজেলার নেতাকর্মীদের বহর কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করেছে। একটি বহরেই পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মী রয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মীদের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিতে আনতে বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট, ক্যাপ ও কপালের ব্যান্ডের ব্যবস্থা করেছে নেতারা।
কুমিল্লার বরুড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন বলেন, ‘কর্মীদের নিয়ে গণতন্ত্রের মায়ের মুক্তির দাবিতে এসেছি। গণতন্ত্রের নেতাদের ডাকে সাঁড়া দিতে আমরা প্রস্তুত।’
টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরেই কুমিল্লায় আসছেন নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন দুপুর ২টা থেকে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) তিনি কুমিল্লায় এসে পৌঁছান।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশ শুরু হয়ে গেছে একদিন আগেই, শুধু বাকি ছিল অনুষ্ঠানিকতা। আজকের বিভাগীয় গণসমাবেশও সফল হবে।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, ‘জনস্রােত আসছে। এখন আর সমাবেশ কুমিল্লা টাউনহলে নেই, ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহরে। মাঠ ও মাঠের আশপাশে আর দাঁড়ানোর জায়গা নেই। মানুষের এই স্রােতই প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষ আর এই ভোট চোর সরকারকে চায় না। তারা ভোট চায়, ভাত চায়, সর্বোপরি বাঁচতে চায়।’
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য সমাবেশ মঞ্চে দুটি আসন রাখা হয়েছে। অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো এই মঞ্চেও দুই জনের ছবি সংবলিত দুটি চেয়ার রাখা আছে।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারি আবু বলেন, ‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াদ বন্দি করে রেখেছে এই ফ্যাসিবাদ অবৈধ সরকার। যত আনন্দই হোক আমরা ভালো নেই। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শিগগিরই আমাদের মাঝে আসবেন। তাই সম্মানার্থে নেত্রী ও আমাদের প্রিয় নেতার জন্য চেয়ার খালি রেখেছি।’