মণিরামপুরে বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। শুক্রবার রাত দুই টার দিকে উপজেলার কোদলাপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের বাড়ির গেট ভেঙ্গে ১০/১২ জন হাফপ্যান্ট পরিহিত মুখোশধারি ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে। এ ঘটনার ২৫ দিন আগে একই এলাকায় ডাকাতি সংঘটিত হয়। এতে করে একই এলাকায় দু’টি ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার, থানার ওসি, ডিবি ও পিবিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাড়ির গৃহকর্তা মশিয়ার রহমান জানান, তিনি পেশায় একজন বেকারি ব্যবসায়ী। বেকারির খাবার উপজেলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারিহারে সরকরাহ করা হয়। ঘটনার দিন ব্যবসায়ীক আদায়কৃত প্রায় ৪ লাখ টাকা বাড়িতে রাখা হয়। এদিন রাত দুই টার দিকে হাফ প্যান্ট পরিহিত ১০/১২ জন মুখোশধারি ঘরে ঢুকে তাকে মারপিট করে। এক পর্যায় তাকেসহ তার স্ত্রী ও মেয়েকে বেধে ফেলে। এরপর চাবি নিয়ে আলমারিতে রক্ষিত ৪ লাখ টাকা, প্রায় ৫ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় প্রায় ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি করে নিরাপদে সটকে পড়ে ডাকাতদল।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ঘটনাস্থলের কাছেই নালেরকান্দা গ্রামের কাশেম আলীর বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ সময় মুখোশধারি ৭ জন ডাকাত ওই বাড়ি হতে নগদ ১৫ হাজার টাকা দু’টি মোবাইল ফোন লুট করে। গত ১৬ নভেম্বর পৌর এলাকার বিজয়রামপুর গ্রামের মাসুদ রায়হান লিটন নামে এক ব্যবসায়ী বাড়ি যাওয়ার পথে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সামনে পৌছুলে মুখোশধারি দুই অস্ত্রধারি তার গতিরোধ করে।
এ সময় মুখোশধারিরা এ্যাপাচি মোটরসাইকেলে থেকে লিটনকে উদ্দেশ্যে করে ধারালো বেকি দিয়ে কোপ দিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায় লিটন বেকি ধরে ফেলে তাদের সাথে ধসাধস্তি করলে বেকি ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় লিটন জখম হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর থেকে ওই বাড়িতে পুলিশের বিভিন্ন শাখার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।