১০ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতির কারণে বরিশালে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন নৌযান শ্রমিকরা।
ফলে রোববার সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীবন্দর ও লঞ্চঘাট থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। এতে করে চরম বিপাকে পরেছেন নৌ-যাত্রীরা। রোববার সকালে অনেক যাত্রীই ঘাটে এসে লঞ্চ চলাচল বন্ধ দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন। বরিশাল থেকে মেহেন্দীগঞ্জের যাওয়ার লঞ্চ যাত্রী শারমিন বলেন, বাড়িতে যাওয়ার জন্য লঞ্চঘাটে এসেছি। কিন্তু র্টামিনালে এসে দেখি লঞ্চ চলাচল বন্ধ।
বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সকাল থেকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। অপরদিকে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বরিশালের সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার বলেন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সারাদেশে এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। ফলে সারাদেশের সাথে বরিশাল বিভাগে সবধরনের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই কর্মবিরতির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
১০ দফা দাবিগুলো হলো ॥ নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠণ করা, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেওয়াসহ শ্রমিকদের সর্বনিন্ম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ¦ালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেয়াসহ ভারতীয় সীমানায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০ শতাংশ কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়াঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সবধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।