নকল সীমানা পিলারসহ এক নারী প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ওই নারী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের গোলের হাট এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে চেংটু মিয়ার স্ত্রী বেলী বেগম।
পুলিশ জানায়, বেলী বেগম তার সহযোগী আপেল মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজন মিলে নকল সীমানা পিলারে ম্যাগনেট জাতীয় মহা মূল্যবান বস্তু আছে মর্মে বিভিন্ন সময় মানুষকে প্রলোভন দিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই পিলার দেখানো এবং বিক্রি করার প্রলোভন দিয়ে চট্রগ্রামের মিরসরাই থানার নন্দীগ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে আলী আশরাফ নয়নকে ডেকে আনেন। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বলদিয়া ইউনিয়নের শতিপুরি গ্রামে বেলী বেগমের বাপের বাড়িতে নিয়ে যান নয়নকে। ওই বাড়িতে নকল পিলারটি দেখানোর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তারা। পিলার দেখানোর পর নয়নের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ ২ হাজার টাকা ও কাপড়ের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় বেলী বেগম গংরা। এ সময় আরও টাকার জন্য তারা নয়নকে মারপিট করতে থাকে। এ সময় হট্টগোলে গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসলে সবাই পালিয়ে গেলেও নয়নকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে নয়নকে উদ্ধার এবং বেলী বেগমকে আটক করে।
এ সময় নকল সীমানা পিলার, পিলার পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত কয়েক প্রকার ইলেকট্রনিক যন্ত্র, কয়েক প্রকার কষ্টেপ, একটি ছুরি একটি, প্লাষ্টিকের খেলনা পিস্তল, তিনটি ব্যাগসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বেশকিছু উপকরণ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বেলী বেগম ও নয়নকে থানায় আনা হয়। রাতেই নয়ন বাদী হয়ে বেলী বেগম ও আপেল মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। পরদিন রোববার দুপরে বেলী বেগমকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তূজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।