ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের এম.কে ডাঙ্গী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন খানের পুত্র ব্যাবসায়ী কাউছার খান (৪০) হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি সাফাওয়াত ইসলাম সিফাত (১৬) ও তার পিতা মোঃ শাহিন মোল্যা (৫০) কে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর মূখ্য হাকিম আদালতে পাঠিয়েছেন পুলিশ। গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের বিএস ডাঙ্গী (হেলিপ্যাড) গ্রামে আসামীর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে পিতা-পুত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সাথে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত সুইচ চাকু, নিহতের ব্যাবহৃত মোটরসাইকেল, পোষাকাদি ও ধ্বংস করা মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ জব্দ করেন।
এ ব্যপারে রোববার বিকেলে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রেস রিলিজ প্রদান করেন পুলিশ। এ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান, অতিরক্তি পুলিশ ইমদাদ হুসাইন, সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার ও চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল প্রমূখ।
পুলিশ জানায়, ব্যাবসায়ী কাউছার খানের সাথে সাফাওয়াত ইসলাম সিফাতের সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। সিফাতকে ভয়ভিতী দেখিয়ে ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময় বলৎকার করত। ঘটনার রাত গত ২৫ নভেম্বর রাত ৮টায় ব্যাবসায়ী সিফাতকে মুঠোফোনে ডেকে এনে মোটরসাইকেল যোগে প্রায় ৫ কি.মি. দুরত্বে উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের বিশাই মাতুব্বর ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা পারে নির্জন বালুচরে নিয়ে যায়। সেখানে সিফাতকে সমকামিতায় বাধ্য করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এ সময় ব্যাবসায়ী পকেট থেকে সুইচ চাকু বের করে সিফাতকে ভয় দেখালে সিফাত ব্যাবসায়ীর হাত ধরে ফেলে এবং দুই জনের মধ্যে ধ্বস্তা ধ্বস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্যাবসায়ীর গলায় চাকুর আঘাত লাগলে সে বালুচরে উপর হয়ে পড়ে যায়। এ সময় সিফাত ব্যাবসায়ীর হাত থেকে চাকু কেড়ে নিয়ে তার পিঠের উপর বসে ব্যাবসায়ীর পিঠ, গলা গর্দান ও মাথার পিছনের অংশে উপর্যপুরি আঘাত করে ব্যবাসায়ীর মৃত্যু নিশ্চিত করে নিহতের মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও চাকু নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ব্যপারে চরভদ্রাসন থানায় নিহতের ভাই লিয়াকত খান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলা নং-০৭, তাং-২৭/১১/২০২২খ্রি.।