ডুবোচরের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভোলা-বরিশাল নৌরুট। ফলে খুলনা থেকে চট্টগ্রামের সাথে সহজ যোগযোগ চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। যেখানে দেড় থেকে দুই ঘন্টায় ফেরি পারাপার হওয়া যায় সেখানে এ রুটের ভেদুরীয়া ঘাটের কাছাকাছি ডুবোচরের কারণে চরেই ফেরিগুলোকে ৪/৫ ঘন্টা আটকে পরে থাকতে হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটে ড্রেজিংয়ের কোন উদ্যোগ নেই বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। নদী ড্রেজিংয়ের দাবীতে অতিসম্প্রতি নদী বন্দর বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও অদ্যবর্ধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বরিশাল-ভোলা রুটে চলাচলকারী নৌযানের শ্রমিকদের দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, লাহারহাট-ভেদুরিয়া ফেরি সার্ভিস রুটের ভেদুরিয়া প্রান্তের ফেরি ঘাট এলাকার প্রায় চারশ’ মিটার ডুবো চরের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ফেরি সমুহ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় চলাচল করছে। এ অবস্থায় ঘাটে প্রবেশের চ্যানেলে পলি ও বালি জমা অব্যাহত থাকলে স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাটে প্রবেশের চ্যানেল বন্ধ হয়ে ফেরি চলাচল ব্যাহত হবে। তাই জরুরী ভিত্তিতে সার্ভে করে ড্রেজিং করার মাধ্যমে ফেরি চলাচলের উপযোগী করাসহ নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবী করা হয়।
সোমবার সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক হোসেন বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য এলাকার নদী খননের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে গুরুত্ব বিবেচনায় সার্ভে করার পর খুব শীঘ্রই নদী খননের কাজ শুরু করা হবে।