রাজস্ব খাতের বরাদ্দকৃত অর্থের সুষম বন্টন না করায় এবং ইউপি চেয়ারম্যানদের মতামতকে মূল্যায়ন না করার প্রতিবাদে পাবনার চাটমোহর উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা বর্জন করেছেন উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সভাতে উপস্থিত ছিলেন না উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যানও। গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একাধিক সূত্র জানায়,উপজেলার রাজস্ব খাতের অর্থ একটি ইউনিয়নে অধিক পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিবাদ জানান ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ। তারা প্রতিটি ইউনিয়নের সুষম বন্টনের দাবি জানান। এনিয়ে সৃষ্টি হয় তিক্ততার। বিষয়টি নিয়ে বসে সমন্বয় করার দাবি করেন চেয়ারম্যানগণ। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় নভেম্বর মাসের সমন্বয় সভা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন সকল চেয়ারম্যান। একারণে তারা ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সভা বর্জন করেন।
এ বিষয়ে পাশর্^ডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আজাহার আলী জানান,বরাদ্দের বিষয়ে সমন্বয় না করায় আমরা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা বর্জন করেছি।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মকবুল হোসেন সভা বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিমাতাসূলভ আচরণ করায় এই সভা বর্জন করা হয়েছে। বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন,ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু ও নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তি সভা বর্জনের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক জানান,তিনি অসুস্থতার জন্য সভাতে যাননি। শুনেছি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানও সভাতে যাননি।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবদুল হামিদ মাস্টার বলেন,চেয়ারম্যানরা সভায় না আসলেও সভা হয়েছে। কোরাম পুরণ হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানরা আসবেন কিনা সেটা তাদের ব্যাপার। কেন তারা আসেননি তা বলতে পারবো না।