প্রিয় পাঠক, ২৫ বছরের টগবগে যুবক সঞ্জিত হালদার মরনব্যার্ধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে এখন অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার অসহায় পরিবারের সকল সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আজ নিঃস্ব হয়ে পরেছেন।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, সঞ্জিতের পুরোপুরি সুস্থ্য হতে আরো প্রায় পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু সহায় সম্ভলহীন সঞ্জিতের পরিবারের পক্ষে এ টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পরেছে। তাই সঞ্জিতের চিকিৎসার জন্য তার অসহায় বাবা ও মা সমাজের মহানুভব বিত্তশালী, প্রবাসী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত পেতে সাহায্যের আবেদন করেছেন।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের সুরেশ চন্দ্র হালদার ও কাজল রানী হালদারের ছেলে সঞ্জিত হালদার। ২৫ বছর বয়সে সঞ্জিত অভাবের সংসারের হাল ধরতে লেখাপড়ার পাশাপাশি ঢাকায় একটি দোকানে কর্মচারীর কাজ করতো। গত চার মাস পূর্বে সঞ্জিতের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। প্রথমে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সঞ্জিতের ব্রেইন টিউমার ধরা পরে। পরে চিকিৎসকেরা সঞ্জিত হালদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের ভ্যালোরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ওইসময় সঞ্জিতের বাবা তার সকল সহায় সম্বল বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে ব্রেইন টিউমারের অপারেশন করিয়েছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অপারেশনের ১০ দিনের মধ্যে সঞ্জিত হালদারের শরীরে মরনব্যার্ধি ক্যান্সার ধরা পরে। সঞ্জিত বর্তমানে ভ্যালোরের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সঞ্জিতের বাবা সুরেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ভারতের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন পর্যায়ক্রমে ৩১টি কেমোথেরাপি দিতে পারলে সঞ্জিত সুস্থ্য হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, কেমোথেরাপিসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এ চিকিৎসায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু আগেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্ভল বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ায় আমার পক্ষে কোনোভাবেই এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি সমাজের মহানুভব বিত্তশালী, প্রবাসী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত পেতে সাহায্যের আবেদন করছি।
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা: সঞ্জিতের বাবা: ০১৭৫৩-৭৩৭২০২ (বিকাশ পার্সোনাল), ০১৮৩৪-৩০৭২২৫ (নগদ পার্সোনাল), অথবা সুরেশ চন্দ্র হালদার, হিসাব নং ০৩০১২০১০১৫১৮৮, সোনালী ব্যাংক, আগৈলঝাড়া শাখা, বরিশাল।