ক্ষুদ্র নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের বিটুবি দেয়ার কথা বলে নগদ ডিস্ট্রিবিউশনের প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেছেন নগদ ব্যাংকিং এজেন্টের ডিলারের অধীনে কর্মরত ডিএসও সৌরভ দাস। গত ছয়দিনেও তার কোন সন্ধ্যান মেলেনি। ঘটনাটি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বুধবার সকাল পর্যন্ত সৌরভের ব্যবহৃত সকল মোবাইল নম্বর বন্ধ পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৌরভ দাস উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২০টি দোকান থেকে ওই টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিটুবি দেয়ার কথা বলে রহমতপুর বাজারের টেলিকম ব্যবসায়ী মিল্টন কাজীর কাছ থেকে ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, আলাউদ্দিনের কাছ থেকে ২৫ হাজার, নিজামের কাছ থেকে ১০হাজার, মিরাজের কাছ থেকে ১০হাজার, নেপাল বনিকের কাছ থেকে ১৬ হাজার, রিপনের কাছ থেকে ৪০ হাজার, বিপুলের কাছ থেকে ৪০ হাজার, কাওসার মাহমুদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১১ লাখ টাকা, এয়ারপোর্ট মোড়ের আজিজুল হকের কাছ থেকে ৫০ হাজার, খানপুরার রুম্মানের কাছ থেকে ১ লাখ, লিটনের কাছ থেকে ৪০ হাজার, রুহুল আমিনের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকাসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়ে সৌরভ দাস আত্মগোপন করেন।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, বিষয়টি নগদের জেলা অফিসের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। নগদ কর্মকর্তা ডিএসসি সেলিম খান সকল ভূক্তভোগীদের নিয়ে আলোচনায় বসে ভূক্তভোগীদের টাকা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ভূক্তভোগী রহমতপুর বাজারের ব্যবসায়ী মিল্টন কাজী বলেন, ডিএসও সৌরভের সাথে আমরা অনেক দিন ধরে লেনদেন করে আসছি। কখনো এরকম ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া রহমতপুরের দাসপাড়া এলাকায় সৌরভের বাড়ি হওয়ায় স্থানীয় ছেলে হিসেবে আমরা তাকে বিশ্বাস করতাম। তিনি আরও বলেন, সৌরভের পরিবারের সাথে যোগাযোগের পর তারা জানিয়েছেন সৌরভের সাথে বাড়ির কারো কোনধরনের যোগাযোগ নেই।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নগদের জেলা কর্মকর্তা ডিএসসি সেলিম খান বলেন, এসব লেনদেনের সাথে নগদের কোন সম্পর্ক নেই। সৌরভ আমাদের কর্মী। সে অফিসে না আসায় আমরা তার পরিবারে খবর নিয়ে জেনেছি তারা সাথে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তারপরেও ভূক্তভোগীদের টাকা পাইয়ে দেয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা চলছে।