প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিকনির্দেশনায় তৎকালীন চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় শান্তির বার্তার মাধ্যমে একসময়ের রক্তাক্ত পার্বত্য অঞ্চলে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ফিরে আসে শান্তি।
সেই থেকে পাহাড়ে শান্তি চুক্তির দিনটি আসলেই বরিশাল নগরীসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শান্তি চুক্তির রূপকার বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরীবিক্ষন কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদ মর্যাদা) ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নিজ এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের উদ্যোগে নগরীর নাজিরপুল এলাকায় পাহাড়-পর্বতের দৃশ্য চিত্রশিল্পীদের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নাজিরপুল সড়কের দুইপ্রান্তে চিত্র শিল্পীদের দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের বড় বড় পাহাড়। চিত্রায়িত করা হচ্ছে, শান্তি বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ের গুহায় পালিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া পথের দৃশ্য।
চিত্রশিল্পী হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা ১৫ জন শ্রমিক গত দুই সপ্তাহ ধরে কাজ করছি। এখনো পাহাড়ের সবুজ রংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। যা দিবসটি পালনের আগেই শেষ করা হবে।
ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজনের উদ্যোক্তা অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ও রক্তাক্ত অঞ্চলে পার্বত্য শান্তি চুক্তির রূপকার আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলকে নিজের রাজনৈতিক মেধা দিয়ে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না স্বাধীনতার পর পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি বাহিনীর হাতে কত বাংলাদেশীদের প্রান গেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে একটি শান্তি প্রিয় এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি সফলতার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করেন। যার চূড়ান্ত রুপ দেয়া হয় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর। তিনি আরও বলেন, শান্তিচুক্তির ২৫ বছর উপলক্ষে আমার এ কর্মসূচি ও চিত্রকর্মের মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম পার্বত্য অঞ্চল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।
অপরদিকে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জেলার প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২ ডিসেম্বর বিকেলে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ এলাকায় বিশাল সমাবেশ শেষে নগরীতে বর্নাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।