ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে বেশ দাপটের সঙ্গে খেলেই কাতার বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পেয়েছিল ডেনমার্ক। কাতার বিশ্বকাপে ডেনিশদের অন্যতম ডার্ক হর্স হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছিলো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-১ গোলে হেরে ডি গ্রুপের তলানিতে থেকেই বিদায় নিলো তারা। অন্যদিকে, ডেনমার্ককে হারিয়ে ফ্রান্সের সমান ৬ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় গ্রুপ রানারআপ হিসেবে শেষ ষোলোতে পা রাখলো অস্ট্রেলিয়ানরা।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে বেশ দাপটের সঙ্গে খেলেই কাতার বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পেয়েছিল ডেনমার্ক। কাতার বিশ্বকাপে ডেনিশদের অন্যতম ডার্ক হর্স হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছিলো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-১ গোলে হেরে ডি গ্রুপের তলানিতে থেকেই বিদায় নিলো তারা। অন্যদিকে, ডেনমার্ককে হারিয়ে ফ্রান্সের সমান ৬ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় গ্রুপ রানারআপ হিসেবে শেষ ষোলোতে পা রাখলো অস্ট্রেলিয়ানরা।
নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে ডেনমার্কের সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের বিকল্প ছিল না। বুধবার (৩০ নভেম্বর) কাতারের আল জানুব স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল ডেনিশরা। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া ইউরোপিয়ানরাই ম্যাচে প্রথম গোলের সুযোগ পায়। তবে ১০ মিনিটে ইয়েসপার লিন্ডস্ট্রোমের শট ব্লক করেন অস্ট্রেলিয়ার মিডফিল্ডার অ্যারন মোই।
দুই মিনিট পর দুরূহ কোণ থেকে মাথিয়াস ইয়েনসেনের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক ম্যাথু রায়ান। ১৯ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় ডেনিশরা। এবারও উদ্ধারকর্তা সেই রায়ানই। জোয়াকিম মাইলের শটে তালগোল পাকিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জালে প্রবেশ করে ফেলছিল। পড়িমরি করে কোনোরকমভাবে পা দিয়ে বলটি গোলে প্রবেশ করা থেকে ঠেকিয়ে দেন রায়ান।
পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি অস্ট্রেলিয়াও। দুই মিনিট পরই রিলে ম্যাকগ্রির ভলিতে এগিয়ে যেতে পারতো অস্ট্রেলিয়া। তবে অজি ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট জমা পড়ে ডেনমার্ক গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেলের হাতে। ২৫ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ডি-বক্সে আন্দ্রেয়াস স্কোউ ওলসেন শট নিলেও সেটি আটকাতে রায়ানের বেগ পেতে হয়নি।
প্রথমার্ধের শেষদিকে অবশ্য ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ২০ গজ দূর থেকে মিচেল ডিউকের নেওয়া শট সহজেই তালুবন্দি করে নেন স্মাইকেল। ফলে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে ডেনমার্ক দাপট দেখালেও সকারুদের জমাট রক্ষণের কারণে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।
মধ্যবিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ডেনমার্ক আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে বলেই মনে করেছিল সবাই। অথচ মাঠে দেখা গেলো উল্টো চিত্র। দ্বিতীয়ার্ধে অস্ট্রেলিয়ার কাছে তেমন পাত্তাই পায়নি ডেনমার্ক। উল্টো ৪ ৮মিনিটে গোল হজম করতে বসেছিল তারা। তবে ইরভিনের ক্রস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ম্যাকগ্রির নেওয়া শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় ডেনিশরা।
নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে এই ম্যাচে হার এড়ানোই ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু গ্রুপের অপর ম্যাচে ৫৭ মিনিটে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল দিয়ে তিউনিশিয়া এগিয়ে গেলে সকারুদের জন্য শেষ ষোলোর সমীকরণ কিছুটা বদলে যায়। প্রথমার্ধে সাবধানী খেলা অস্ট্রেলিয়ানরা দ্বিতীয়ার্ধে হয়ে ওঠে আগ্রাসী। ম্যাচের ৬০ মিনিটে সেটিরই ফায়দা তোলে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাকগ্রির পাস থেকে বল পেয়ে বাঁ দিক থেকে লেকির দারুণ লক্ষ্যভেদী শটে এগিয়ে যায় সকারুরা।
গোল হজম করে ডেনমার্কের ওপর চাপ আরও বেড়ে যায়। তবে ম্যাচে ফিরতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি ডেনিশরা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভেদ্য রক্ষণের সঙ্গে কিছুতেই পেরে উঠছিল না তারা। ৭১ মিনিটে ডেনমার্কের পেনাল্টি পাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু আক্রমণের সময়ে বদলি ফরোয়ার্ড ক্যাসপার ডলবার্গ অফসাইডে থাকায় পেনাল্টি পায়নি ইউরোপীয় দেশটি। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটেও সমতাসূচক গোলের সুযোগ পেয়েছিল ডেনমার্ক। তবে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের নেওয়া কর্নারে আন্দ্রেস কর্নেলিয়াসের হেড চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। ফলে ১-০ গোলে জিতেই ২০০৬ বিশ্বকাপের পর আবারও নকআউট পর্বে পা রাখলো অস্ট্রেলিয়া।