ক্ষেতলাল উপজেলার সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা ফিরাতে তিন সাংবাদিক সংগঠনকে একত্র করে সর্বমহলে প্রসংশিত হলেন দুই জৈষ্ঠ সাংবাদিক।
তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ক্ষেতলাল ডায়াবেটিক সমিতি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার মাধ্যমে ২৯ নভেম্বর থেকে সর্ব সম্মতিক্রমে ওই দুটি সংগঠন বিলুপ্তি ঘোষনা করে সকল সাংবাদিকদের নিয়ে ক্ষেতলাল প্রেসক্লাব নামে সংগঠনটি পরিচালিত হবে।
প্রসংগ: ক্ষেতলাল উপজেলার ৮০ দশকের সাংবাদিকতার পথিকিৎ কাজী রিয়াজুল কবীর অরুপ হাতধরে সৃষ্টি হয় সাংবাদিকতার দিগন্ত। যার ফলশ্রুতিতে ৯০ দশকের প্রিন্ট মিডিয়ার স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী ক্ষেতলাল প্রেস ক্লাব নামে একটি সাংবাদিক সংগঠন গঠন করে। তাদের লেখনির মাধ্যমে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার ও প্রশাসনের গঠন মূলক সংবাদ প্রচার করে সুনাম অর্জন করেন। সৃষ্টিলগ্ন থেকে ওই ক্লাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আনোয়ারুজ্জামন তালুকদার নাদিম ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া চৌধুরী। পরবর্তীতে নির্বাচনে সভাপতি পদে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন নাদিম তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী। বিভিন্ন সময় সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করতে গিয়ে দু‘একজন সংবাদকর্মী পদ বঞ্চিত হত। তারা বাহিরে এসে নিজের পছন্দের কিছু ব্যক্তিকে সাংবাদিক বানিয়ে একাধিক খন্ডে বিভক্ত হয়ে নবীন ও প্রবীনদের নিয়ে গঠন করে আরও দুটি সাংবাদিক সংগঠন। দীর্ঘদিন যাবত চলতে থাকে তাদের বেপরোয়া সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা। বিভিন্ন মহলে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয় ক্ষেতলালের সাংবাদিকতা। বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে সুশীল সমাজ ও সূধী জনদের। ক্ষেতলালের সাংবাদিকতায় ঐতিহ্য ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উপজেলার কৃতী সন্তান, বিশিষ্ট্য দুই জৈষ্ঠ সাংবাদিক আলমগীর হোসেন চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম এর উদ্যোগ নিয়ে সকলকে একত্র করার আহ্বান করে এবং উপজেলা কর্মরত নবীন ও প্রবীন সকল সাংবাদিক একত্র হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
ওইদিন প্রেসক্লাবে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সর্বসন্মতিক্রমে দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং প্রতিদিনের সংবাদ এর উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, দৈনিক করতোয়ার ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম আকন্দ ও যুগান্তর প্রতিনিধি হাসান আলীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
ক্ষেতলাল উপজেলার প্রথম সাংবাদিক, কবি ও প্রাবন্ধিক কাজী রিয়াজুল কবীর অরুপ বলেন- সাংবাদিকতায় আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তির ব্যবহার আগের থেকে অনেক এগিয়ে। বর্তমান সাংবাদিক সমাজ দিধাবিভক্তি ভেঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনর মাধ্যমে দেশ ও জাঁতি গঠনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে।
এ সময় সাংবাদিক আজিজার রহমান, আজিজুল হক, আনোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হাসান চৌধুরী রকেট, আনম রুহুল আমিন চিশতী, এস কে মুকুল, জি এম কিবরিয়া, একরামুল ইসলাম, আবু হাসান, আখতারুজ্জামান তালুকদার, মুরাদ হোসেন, এস এম শওকত, আমানুল্লাহ আমান, এস এম ওয়াকিল, এস এম মিলন, আহমেদ পান্না, শাহীনুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, ও বিভিন্ন সেচ্চাসেবী সংগঠনের সমন্বয়ক ফেরদৌসী রানা চৌধুরীসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।