যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নৌ-বন্দরে ভৈরব নদে হঠাৎ করেই কুমিরের দেখা মেলেছে। যে কারণে দুই পাড়ের মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি তৈরি হয়েছে। তাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ভৈরব নদের নওয়াপাড়া নদী বন্দরে স্থানীয়রা ভাটির সময় একটি কুমির দেখতে পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় লোকজন কুমিরটি দেখতে পান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুজার সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, মঙ্গলবারও স্থানীয়রা একই স্থানে কুমিরের দেখতে পেয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত এ নদে নিকট অতীতে কখনও কুমির দেখা গেছে বলে শোনা যায়নি। অথচ সেই ভৈরব নদে আজ হঠাৎ কুমিরের দেখা পেয়েছেন। নদের তীরে রৌদ্রস্নান করতে দেখা গেছে কুমিরটিকে। নওয়াপাড়া ট্রেডার্সে চাকুরি করেন মো. সাব্বির হোসেন বলেছেন, এই নদে অতীতে কেউ কুমির দেখেননি। এই প্রথম কুমির দেখা গেল। নদের তীরে উঠে মাঝারি ধরনের কুমিরটি রোদ পোহাচ্ছিল। কুমিরটি দেখতে নদের তীরের গ্রাম মধ্যপুরে আশপাশের এলাকার মানুষ ভিড় করেন। আব্দুন রশিদ বলেন, মানুষের ভিড়ে কুমিরটি আরাম করে রোদ পোহাতে পারেনি। ছবি তোলার জন্য মানুষ ভিড় করতে থাকে। মধ্যপুর গ্রামের হাবিবা খাতুন জানান, ভৈরব নদে ভাঁটা ছিল। নদের চরে উঠে কুমিরটি রোদ পোহাতে থাকে। কুমিরটি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট লম্বা। প্রচুর মানুষের সমাগম করায় বিরক্ত হয়ে কুমিরটি পানিতে নেমে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুজার সিদ্দিকীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়রা আমাকে ফোন করে জানান নদীর তীরে তারা কুমির দেখতে পেয়েছেন। তাতে কুমিরটিকে বাচ্চাই মনে হয়েছে। কেননা এটির দৈর্ঘ্য ৩ থেকে সাড়ে চার ফিট। পূর্ণবয়স্ক কুমিরের দৈর্ঘ্য ১২ থেকে ১৪ ফিট হয়। তিনি আরো বলেন, শীতকালে কুমির নদী তীরে রোদ পোহাতে আসে। ধারণা করছি, সুন্দরবনের মিঠা পানির এই কুমির খাদ্যের কারণে রুপসা বা ভৈরবে এসেছে। এই সময়ে আমাদের সবাইকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করে নদীতে নামা উচিত। কারণ কুমির দেখা গেছে। এ নদী বন্দরের শ্রমিকেরা গোসল করতে নদীতে নামে তাই সর্তক থাকার নির্দেশ প্রদান করছি।