গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঘটনা সম্পর্কে কিছুই না জানলেও তাদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার কাপাসিয়া থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজমল সরকার। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাদী আজমল সরকার ও তার বন্ধু সাইফুল ইসলাম মোটর সাইকেল দিয়ে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিক্রম কালে আসামিরা তাদের উপর আক্রমণ করেন। এমনকি তাদের হাতে থাকা মশালের আগুন দিয়ে তাদের পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ইমরান চৌধুরি হিমু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদুল আলম বুলু, সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন শিশির, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাগর মিয়া, জাহিদ হাসান, মহিবুল ইসলাম ও মোঃ সোহেল।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দালনকে থামিয়ে দিতে সরকার এসব গায়েবি মামলা দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও হয়রানীমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদুল আলম বুলু জানান, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে ঘটনা দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। সম্পূর্ণ হয়রানীর উদ্দেশ্যে কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানান ওসি এএফএম নাসিম জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।