সেদিন ছিলো রোববার রাণীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী বাজারে বসে দেখা গেলো একটি ধান কাটার গাড়ি দ্রুত গতিতে পাকা রাস্তা দিয়ে আসছে মনে হচ্ছে গাড়িতে কোন চালক নেই। বাজারে চায়ের দোকানের সামনে থামলো গাড়িটি নেমে এলো ফুটফুটে একটি ছোট শিশু।তাকে দেখে আমি অবাক হলাম কৌতূহল হলো সেই শিশুটির সাথে কথা বলতে। আলোচনায় বেড়িয়ে এলো অনেক তথ্য। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী এলাকায় তারা পিতা মাতা সহ বসবাস করতো কাশিডাঙ্গা এলাকায় আরমানের পিতা মৃত মনসুর আলী মাতা আজনা খাতুন ছোট ভাই সাকিবুল ইসলাম ও বিমাতা ভাই জুয়েল ও মেনা সাথে বসবাস করত। একসময় আমার বাবার সাথে বিমাতা ভাইদের বিরোধ হওয়ায় বাবাসহ আমাদেরকে বের করে দিলে আমরা দিননাজপুর কাচারি পাড়ায় বসবাস শুরু করি। আমার বাবা ছোট একটি ঘর করে আমরা বসবাস করি। কিছু দিন যেতে না যেতই মারা য়ায় আরমানের বাবা মুনসুর। ৫ম শ্রেণির লেখা পড়া ছেড়ে জীবিকার সন্ধানে সংসারের হাল ধরতে হয় আরমানকে কেউ না থাকায়। আরমানকে চাচাতো ভাই রুবেলের আশ্রয় গ্রহণ করতে হয়। চাচাতো ভাইয়ের সাথে চলতে চলতে একসময় ধান কাটা গাড়ি চালাতে শিখে আরমান। আরমানের ছোট ভাই ২য় শ্রেণীর ছাত্র মা থাকেন তাদের সাথেই। প্রতি মাসে তাকে বেতন দেওয়া হয় ৬ হাজার টাকা এ দিয়ে চালাতে হয় সংসার। সংসার চালাতে ২০০ টাকা দিনে খরচের হিমসিম খেতে হয় আরমানকে। অনেক স্থানে তার নামে গাড়ি চালানো লাইসেন্স না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হয়। ভাবনা রয়ে যায় যে ছেলেটিকে স্কুলে বা খেলার মাঠে থাকার কথা সে পড়ালেখা বন্ধ করে এখন জীবিকার সন্ধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আরমান জানায় আমারো পড়ালেখা করার ইচ্ছে ছিল।কিন্তু ছোট ভাইটি ও মাকে দেখার কেউ নেই আমি গাড়ি চালানো বন্ধ করলে আমার পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে।