রংপুরের পীরগঞ্জে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিরেযাগে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছে- কুমিদপুর ইউনিয়নের নতারপাড়া গ্রামের আনিছুল ইসলাম ওরফে আলম (৪৯) ও তাজুল ইসলাম (৩)। বর্তমানে এরা জেল হাজোতে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের বাজে শীবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইট ভাঁটা ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সাজু’র ইটভাটা থেকে গত ২৩ নভেম্বর জনৈক মোয়াজ্জেম হোসেনের ১টি বাইসাইকেল চুরি যায়। এ ঘটনায় চোর সন্দেহে শিশু রিফাত (১২) কে সাজু মাস্টারসহ ৩/৪জন ব্যক্তি রাত ৮ টার দিকে কুমেদপুর বাজার থেকে শিশু রিফাতকে আটক করে বিভিন্ন স্থানে সাইকেল উদ্ধারে নিয়ে গিয়ে ব্যর্থ হয়। শেষে মোয়াজ্জেম হোসেনের চাতালে রিফাতকে রাতভর আটকে রেখে পরদিন ২৪ নভেম্বর সকাল ১১ টায় জনৈক ফুল মিয়ার বাড়ির সামনে শিশু রিফাতের হাত পা বেঁধে এলোপাতাড়ি নির্দয়ভাবে পোটায়। খবর পেয়ে রিফাতের বাবা ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে সাদাকাগজে লিখিত নিয়ে রিফাতকে বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেয়। রিফাত মরারপাড়া নতারপাড়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান ওরফে দুলা মিয়ার ছেলে ও কুমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। রিফাতকে পেটানোর দৃশ্য জনৈক ব্যক্তি গোপনে ভিডিও ধারন করে ফেজবুকে আপলোড দেয়। মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। পীরগঞ্জ থানার পুলিশ ১ ডিসেম্বর ভিডিও ফুটেজ দেখে উর্দ্ধতণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ ঘটনার মূলহোতা কুমেদপুর ইউনিয়নের বাজে শীবপুর গ্রামের আইয়ুব উদ্দিনের ছেলে বাজে শীবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইট ভাঁটা ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সাজুকে (৫৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঘটনায় সাথে জড়িত থাকায় অপর দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই একই গ্রামের আরও ৩জন সোহেল মিয়া (৩৬), আবদুল মোমিনুল ওরফে মোমিন (৩৪) ও মাইনুল ইসলাম মাইন (৩২) সহ ৬জনের নামে এবং ৮/১০জনকে অজ্ঞাত রেখে রিফাতের বাবা পীরগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করেন। পীরগঞ্জ থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।