গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলায় চাচাত ভাই তমিজ উদ্দিন বেপারী (৭২) গুরুতর আহত হওয়ার দু’দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঘাগটিয়ার সালদৈ গ্রামের সৈন্যপাড়ায়। সে ওই গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আরো ১১ জন মারাত্নক ভাবে আহত হয়েছে।
পারিবারিক ও থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত তমিজ উদ্দিন গং তার চাচাতো ভাই মোকলেছ, মোস্তফা, ওয়াহিদ, মোশারফ, নুরুল উসলাম, হামিদ ও কফিল উদ্দিনের নিকট থেকে দীর্ঘদিন আগে রেজিষ্ট্রিমূলে ৩০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো তাদেও নিকট ৭ শতক জমি দাবী করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ উভয় পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চিলছলো।
এ নিয়ে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মোকলেছ গংরা এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রফিকুল (২২), রিফাত (১৮), সবুজ (২২), আশরাফুল (২০), সজিব (১৮), রাকিব (১৫), নাঈম (১৪) সহ ৮-১০জন সন্ত্রাসী তমিজ উদ্দিনের বাড়িতে অর্তকিত হামলা করে। হামলাকারীরা দা, লাঠি ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তমিজ উদ্দিনদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই সময় তমিজ উদ্দিনকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জাহানারা (৬০), সোমা, মারুফা, ইউসুফ, রাশিদা, সুমাইয়া, সানজিদা, রেহানা, শিলা, রত্না ও রুমি গুরুতর আহত হয়।
তমিজ উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোটভাই সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মোকলেছ গংদের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারির ঘটনায় গত বুধবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অরস্থায় তমিজউদ্দিনের মৃত্য হয়। এ ঘটনায় মোস্তফা ও কফিল উদ্দিন নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।