মেহেরপুর জেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডাগওয়েল পদ্ধতিতে সেচ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এসব ডাগওয়েল সেচপাম্প স্থাপন করেছে। এ পদ্ধতিতে ব্যবহারের ফলে ডিজেল ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হওয়ার পাশপাশি অল্প খরচে সেচ সুবিধা পাওয়ায় খুশি চাষীরা। তবে এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দেয়া হলে কৃষিকে বিপ্লব ঘটবে বলে ধারনা কৃষকদের। আর বিএডিসি কর্তৃপক্ষ বলছে এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন তারা।
চলতি বছরে মেহেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৩০টি ডাগওয়েল পাম্প স্থাপন করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এসব সেচপাম্পে নামমাত্র খরচে জমিতে সেচ দিতে পারায় খুশি কৃষকরা। তবে সেচপাম্প ম্যানেজার ও কৃষকদের বলছেন মোটর ও পাইপ একটু বড় দেয়া হলে কৃষকরা অল্প সময়ে বেশি পানি পাবে। প্রতিটা ডাগওয়েল পাম্প স্থাপনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা। ঠিকাদারের মাধ্যমে ডাকওয়েল পাম্প স্থাপন করা হয়। এতে সেচের পানির অপচয় হচ্ছে না। ফলে কৃষকদের পাম্প পরিচালনা ও ফসল উৎপাদন খরচ কমে আসছে।
বিদ্যুৎবিভ্রাট ও জ্বালানী তেল ডিজেলে অপ্রতুল ও মৃল্যে বৃদ্ধির কারণে জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো এ জেলার কৃষককে। অনেক সময় সেচ দিতে না পেরে জমিতেই নষ্ট হয়ে যেত ফসল। ধারদেনা করে ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে বেড়ে যেতো কৃষকের লোকসানের বোঝা। কালের বিবর্তনে সোলার প্যানেলের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ডাকওয়েল পদ্ধতিতে সেচ কাজে বাড়তি খরচ বা ঝামেলা না থাকায় আগ্রহ বাড়ছে এখানকার কৃষককে। বিদ্যুৎ ডিজেল সংকটের পাশাপাশি হঠাৎ লোডশেডিং ও লো ভোল্টেজে পানির পাম্প নষ্ট হওয়ারও চিন্তাও নেই এখন চাষীদের। ডাগওয়েল পাম্পের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৫ বিঘা জমি সেচ দেয়া যাবে। এতে সেচের পানির অপচয় হবে না। ফলে কৃষকদের পাম্প পরিচালনা ও ফসল উৎপাদন খরচ কমে আসছে। এলাকায় কমমূল্যে সেচের পানি পেয়ে চাষাবাদে ধুম পড়েছে।
চাষীরা বলেন,অল্প খরচে সেচ দেয়া যায়। একারনে এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে পারলে ডিজেল ও বিদ্যৎ সাশ্রয় হবে। তবে মোটর পাশ্প ও পাইপ একটু বড় দেয়া হলে দ্রত সময়ের মধ্যে সেচ দেয়া সুবিধা হবে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) উপ সহকারী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ শ্যামল বলেন, ডাগওয়েল পদ্ধতিতে সেচ দিলে বিদ্যুৎ ও ডিজেল সাশ্রয় হবে। কম মূল্যে সেচ সুবিধা পাওয়ায় সেচের আওতা বাড়বে। এতে কৃষক বাঁচবে কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।
ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) : বড় পাম্প দেয়া যায় কি না সরকারে কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।