মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে এবং চালকদের সচেতন করতে নীলফামারী জেলায় চালু হলো "নো হেলমেট নো ফুয়েল" কার্যক্রম। এতে জেলার সচেতন মানুষ আনন্দে ভাসছেন। আর এর প্রকৃত দাবিদার হলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম। পাশাপাশি তারা পুলিশ সুপারের এমন কার্যক্রমের প্রসংশা করেছেন।
পেট্রোল পাম্পে হেলমেট ছাড়া যাতে কেউ মোটরসাইকেলে তেল নিতে না পারে সেজন্য জেলার ৩৯ টি পাম্প মালিকদের সাথে ২৭ নভেম্মর তবিনিময় করেন পুলিশ সুপার। এ কাজে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। আর এর সফলতায় পাম্পে পুলিশ মোতায়েন করেন।
এদিকে মোটরসাইকেলে যাতে দুইয়ের অধিক লোক চলাচল করতে না পারে:সেজন্য জেলার ১৬টি রুটে’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করেন তিনি।
কার্যক্রমের সফলতা দেখতে ১ ডিসেম্বর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প পরিদর্শণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তফিজুর রহমান পিপিএম।
সৈয়দপুরে মোটরসাইকেল চালক আবদুস সবুর আলম, মহসিন মন্ডল মিঠু, ওবায়দুল ইসলাম, রনজিৎ রায় পুলিশ সুপারের উদ্যােগকে স্বাগত জানান এবং এ কার্যক্রম চালু রাখার দাবি জানান।
সৈয়দপুর সুমনা পাম্পের ম্যানেজার সেকেন্দার আলি জানান আমাদের পেট্রোল পাম্পে হেলেমেড ছাড়া কারো কাছে পেট্রোল-অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে না। অনেকে এসে চায় কিন্তু আমরা তাকে বুঝিয়ে ফেরত দিয়ে থাকি। এতে হয়তো তারা কিছুটা মনোক্ষুন্ন হয়ে থাকেন।
পুলিশ সুপারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু,সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
সৈয়দপুরে ৮টি বিটে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। বিটগুলো হল শহরের বাসটার্মিনাল, ওয়াপদা, দুই নং রেল ঘুমটি, সুইপার পট্টি মোড়,মদিনা মোড়, রাবেয়া মোড়, বিচালি হাটি ও বঙ্গবন্ধু চত্বর।
টি আই আবদুল খালেক জানান, আমরা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র,দুইজনের বেশি আরোহী,হেলমেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বেপরোয়া গাড়ী চালককে আটক করে মামলা দিয়ে থাকি। এ উদ্যোগ অনেকটা সফল হয়েছে।