রংপুরের পীরগঞ্জে অষ্ট প্রহরের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া এক দম্পতিক কৌশলে চোর অপবাদ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পাতানো হলেও তা শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়ে গেছে। গত শনিবার বিষয়টি পীরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুরো ঘটনা বুমেরাং হয়ে যায়। অভিযোগে জানা গেছে,পার্শ্ববর্তী সাদুল্যাপুর উপজেলার কিসামত তাজপুর গ্রামের বাসীন্দা সুশান্ত কুমার মজুমদার ও তার স্ত্রী মৌসুমী মজুমদার ২ শিশু সন্তানকে নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর নিজস্ব মোটরসাইকেল যোগে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের উজিরপুর মাঝিপাড়ায় অষ্ট প্রহরের অনুষ্ঠানে আসে। সন্ধ্যার পর মৌসুমী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে অনুষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী শ্রী রাজেশ্বর এর বাড়িতে যায়। বাড়ির গেট খোলা এবং সবগুলো ঘর তালাবদ্ধ দেখে ৩ বছর বয়সী কন্যা সন্তাকে বাথরুমে বসিয়ে দিয়ে নিজেও প্রয়োজন সারেন। এ সময় বাড়িতে ঢুকে বাড়ি মালিক রাজেশ্বরের ছেলে প্রদীপ মৌসুমীকে একাকী পেয়ে হাত ধরে টানাটানি করে। মায়ের এ অবস্থা দেখে সন্তানদ্বয় কান্নাকাটি শুরু করায় আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রদীপ কৌশলে মৌসুমী কে চোর আখ্যা দিয়ে আগত কয়েকজনের সহযোগিতায় মৌসুমীকে ঘরের ভিতর নিয়ে আটকে রাখে। ইতোমধ্যে খবর পেয়ে মৌসুমীর স্বামী সুশান্ত স্ত্রীকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তার লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ১১০ সিসি হোন্ডা মোটরসাইকেলসহ তাকেও ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে স্থানীয় পৌর কমিশনার কবিরুল ইসলাম ও আনজুয়ারা কে ডেকে নিয়ে সালিশের নামে আটক স্বামী স্ত্রীর কাছে জবরদস্তিমুলক ৩’শ টাকার ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে সালিশের জন্য ৫০ হাজার ও থানা পুলিশের জন্য বিশ হাজার টাকার মুচলেকায় এদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি ঘটলে কমিশনারদ্বয় বলেন “কারো কোন অভিযোগ নেই হেতু বিষয়টি আমরা মীমাংসা করেছি”। এজন্য অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। ঘটনার পরদিন থেকেই সুশান্তকে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে এসে মোটর সাইকেল নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে মর্মেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। গত শনিবার পীরগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।