ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জমজ ভাই বোন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সলেমানপুর গ্রামে ক্ষুদ্র মুদি দোকানি সিরাজুল ইসলাম মনির ও কাজী শাহীতাজ কাকলীর জমজ ছেলে-মেয়ে সাদীদ ইসলাম সৃজন ও মুবাশ্বিরা নাজিরা নির্জন ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের ছেলে-মেয়ে ভাল ফলাফল করলেও আগামীতে তাদের কলেজে লেখা-পড়ার খরচ নিয়ে দুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুঃচিন্তার ভাজ পড়েছে পিতা-মাতা কপালে। জমজ ভাই-বোন এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের ইচ্ছার কথা জানিয়ে, সাদীদ ইসলাম সৃজন বলেন- আমি পড়ালেখা শিখে ভাল একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। মুবাশ্বিরা নাজিরা নির্জন হতে চাই কলেজ শিক্ষকা। এই জমজ ভাই-বোনের মধ্যে সাদীদ ইসলাম সৃজন কোটচাঁদপুর সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আর মুবাশ্বিরা নাজিরা নির্জন কোটচাঁদপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মা কাজী শাহীতাজ কাকলী জানান- স্বামীর স্বল্প রোজগারে সংসার চালিয়ে ছেলে-মেয়ের জন্য আলাদা ব্যয় করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তাই তিনি সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে এলাকার ছেলে-মেয়েদের প্রাইভেট পড়ান। আর যেটুকু সময় পান সেই টুকু সময় তার জমজ ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার পিছনে ব্যয় করেন। এ ভাবেই এতদিন ভীষণ কষ্ট করে পার করেছি। তিনি বলেন- সামনে ছেলে-মেয়ে দু’টি কলেজে ভর্তি, বই কেনা, কলেজ ড্রেস এ গুলি কোথা থেকে যোগাড় করবো ঝুঝে উঠতে পারছিনা। বুঝতে পারছিনা তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে কি-না। আমার মেধাবী ছেলে-মেয়ের দিকে তাকিয়ে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের চিন্তা দূর হতো।