বয়সের কারণেই কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মন মননে প্রচ- দুরন্তপনা এবং বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছ্বাস ঢেউ খেলে। আর সে কারণে তারা ওই বয়সে দুরন্তপনা, হইচই এবং আনন্দ উচ্ছ্বাস করতে খুঁজে ফেরে বিনোদন কেন্দ্র বা শিশু পার্ক। সুজানগর উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে নির্মিত একমাত্র শিশু পার্কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বিনোদনের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। সে কারণে এলাকার কোমলমতি শিশু-কিশোররা বিনোদন থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু নবাগত সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম উপজেলার শিশু-কিশোরদের দুরন্তপনা আর আনন্দ উচ্ছ্বাসের কথা হৃদয়ে ধারণ করে ওই পার্কটি সংস্কার তথা বর্ণিল সাজে সাজিয়ে শিশু-কিশোরদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম পার্কে আসা কমলমতি শিশু-কিশোরদের লেখাপড়ার পাশাপাশি বিনোদনমুখী করতে মাঝে মধ্যে নিজেই শিশু কিশোরদের সাথে দোলনায় বসে আনন্দ করেন। আবার কখনো তিনি শিশু-কিশোরদের দোলনায় বসিয়ে নিজেই দোলনা ধাক্কা দিয়ে দোল খাওয়ান। এতে কোমলমতি শিশু- কিশোররা অত্যন্ত আনন্দিত, উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত হয়। শিশু পার্কে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের নিয়ে ঘুরতে আসা অভিভাবক রাবেয়া আক্তারসহ আরো অনেকে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা। আর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সাধারণত একটু গম্ভীর এবং অন্যরকম হন। অথচ গত সপ্তাহে ওই শিশু পার্কে আমার সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এসে বর্তমান সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম স্যারের শিশুসুলভ মন দেখে সত্যই মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে স্যার নিজে পার্কে ঘুরতে আসা শিশু-কিশোরদের সাথে দোলনায় বসে আনন্দ উৎসব করার পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনমুখী করতে নিজেই শিশুদের দোলনায় বসিয়ে ধাক্কা দিয়ে দোল খাওয়ানোর দৃশ্য আমাকে বিমোহিত করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন কোমলমতি শিশুদের উৎসবমুখর হাসি এবং দুরন্তপনা আমার কর্মক্লান্ত মনে প্রশান্তি যোগায় এবং আমার কর্মস্পৃহাকে শাণিত করে। সে কারণে বিকেলে উপজেলা পরিষদ শিশু পার্কে ঘুরতে আসা শিশু-কিশোরদের সাথে আমি আনন্দ উৎসব করি।