দিনাজপুরের খানসামায় খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর গ্রামের ডাক্টারপাড়ার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র আরিফুরজ্জামান (৮) অপহরনের ৩ দিন পর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃত শিশু আরিফুজ্জামান (৮) ওই এলাকার আতিউর রহমানের ছোট ছেলে।
রোববার দিবাগত রাত ২ ঘটিকায় উপজেলার পাকেরহাটের আরজি যুগিরঘোপা গ্রামের জনৈক আবদুস সালামের ভাড়া দেওয়া বাড়ির উঠান খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত আরিফুজ্জামানের বাবা আতিউর বলেন, গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) আমরা বাপ ছেলে সকালে রসুন রোপন করতে জমিতে যাই। মাঠে কাজ শেষে দুপুর বেলা নদীতে চারজন ছেলের সঙ্গে আমার ছেলে গোসল করতে যায়। সে সময় শ্যাম্পু ভাগাভাগি নিয়ে নানান রকম ঠাট্টা-মশকারি করে। গোসল শেষে জুম্মার নামাজ পড়তে যায়, নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া করে সে খেলাধুলা করতে বাইরে যায়। খেলাধুলা করে বাসায় না ফেরায় আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি, এলাকার অনেককেই জিজ্ঞেস করলে, তারা বলে আমরা অনেক আগেই দেখেছি আর দেখি নাই। আমাদের টেনশন বাড়তে থাকে। কোথায় খুঁজে না পাওয়ায়, আমরা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ খবর নেই কিন্তু সেখানেও মেলেনি আমার সন্তান।
পুলিশ জানায়, শিশুটি নিখোঁজ হলে আমাদের কাছে তার পরিবার সাধারণ ডায়েরি করে। ডায়েরি আমলে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত সন্দেহ ভাজন হিসেবে বাদীর প্রতিবেশি শরিফুল ইসলাম (২৪) সহ আরো কয়েকজনকে নজরে রাখি।
নিবিড় ও নিরবিচ্ছিন্ন জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া শরিফুল ইসলাম (২৪) অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির বিষয় স্বীকার করে এবং অপহৃত শিশুর সন্ধান দিতে রাজি হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরো বলেন আমি শিশুকে অপহরণের পর বলাৎকরে শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে রাখার রাখি।
এরপর শরিফুলের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্তরঞ্জন রায় জানান, ঘটনাটি জানার পর থেকেই শিশুকে উদ্ধারে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ চালিয়ে যায়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহজনক হিসেবে শরিফুলকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।