চাঞ্চল্যকর শহিদুল হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তে আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে ৮মাস পর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গত ৫ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পক্ষীমারী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে শহীদুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করা হয়। সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক গোলক চন্দ্র বসাকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরানের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক গোলক চন্দ্র বসাক,শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শহিদুল ইসলাম,শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রেজাউল করিম সুমনসহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাযায়, গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম তার অটো ভ্যান গাড়ি নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে ফিরেনি। পরদিন সকালে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মাটিখোলা গ্রামে একটি আমগাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় শহিদুলের মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তার মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মনছুর আলী বাদী হয়ে গত ১১ এপ্রিল জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সিআইডি’র কাছে মামলাটি হস্থান্তর করা হলে পুলিশ পরিদর্শক গোলক চন্দ্র বসাকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত নিহত শহিদুল ইসলামের লাশ পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয়। নিহত ভ্যান চালক মো.শহিদুল ইসলাম(৪০)জামালপুর সদর উপজেলা শাহবাজপুর ইউনিয়নের পক্ষীমারী গ্রামের মৃত আছর মন্ডলের ছেলে। নিহত শহিদুল ইসলামের পরিবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক গোলক চন্দ্র বসাক বলেন,আদালতের নির্দেশে শহিদুল ইসলামের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।