গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২ হাজার ৫’শ ৬৮ জন হতদরিদ্র ৩ মাসের খাদ্য বান্ধবের (ফেয়ারপ্রাইজ) চাল থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
জানা গেছে, সরকার হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করণের লক্ষে সারা দেশে খাদ্য বান্ধব (ফেয়ারপ্রাইজ) কর্মসূচি চালু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ২৪ হাজার ১১ জন হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ মেলে। প্রতিটি ইউনিয়নে জনসংখ্যা অনুপাতে বিভাজিত হতদরিদ্রের নামের তালিকা প্রস্তুত ও কার্ড বিতরণ করা হয়। নিয়োগ দেয়া হয় প্রতিটি ইউনিয়নে ডিলার। মোট ৪২ জন ডিলারের মাধ্যমে দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে নির্ধারিত কার্ডে উপকার ভোগীরা ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করে আসছিল। প্রতি বছর মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই ৫ মাস তারা খাদ্য বান্ধবের চাল উত্তোলন করে সংসারে খাদ্য চাহিদা পুরণ করে আসছিল। এদিকে হঠাৎ করে চলতি বছরে ২ মাস চাল উত্তোলন করার পর অন-লাইনের মাধ্যমে কার্ডগুলো আপডেট করার নাম করে তা জমা নেয়া হলেও বিভিন্ন অজুহাতে ২ হাজার ৫’শ ৬৮ জন হতদরিদ্রের কার্ড বাতিল করা হয়। বাতিল কার্ডগুলো পুনঃ বরাদ্দের জন্য প্রতি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের নিকট স্ব-স্ব ইউনিয়নের বাতিল যোগ্য কার্ড বিভাজন করে তা পুনঃ তালিকা প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় বাতিল কার্ড গুলো বাতিলই থেকে যায়। এতে করে ঐ সকল হতদরিদ্র গত সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের চাল উত্তোলন করতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ফলে বাতিল কার্ডগুলো পুনঃরায় তালিকায় আসবে কি না এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান জানান, যথাসময়ে চেয়ারম্যানগণ বাতিল কার্ডগুলোর পুনঃ তালিকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় সম্ভাব্য সুফলভোগীরা বঞ্চিত হয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।