যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভাংগাগেট এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় পাষন্ড ছেলে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার ভাংগাগেট লক্ষীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিন’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর হামলাকারি ছেলে মফিজুর রহমান (৫৮) এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
আহতরা হলেন, লক্ষীপুর গ্রামের মৃত রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার (৮৩) ও তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬৮) ছোট ছেলে মো: আজিজুর ইসলাম(৩৮)।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধ বাবা বারেক সরদার জানান, জমিজমা ও বৈদ্যুতিক মিটার বসানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে বড় ছেলে মফিজুর রহমানের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে মফিজুর ক্ষিপ্ত হয়ে একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার স্ত্রী ও ছোট ছেলে এগিয়ে আসলে মফিজুর ছোট ভাইকে পিটিয়ে ও মা’কে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে আহত করে। দুজনের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহত বারেক সরদারের ছোট ছেলে আজিজুর রহমান জানান, বাবা-মাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বড়ভাইকে ধরতে গেলে সে আমাকেও পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরে অভয়নগর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শোভন বিশ্বাস জানান, মাথায় ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত বৃদ্ধ বাবা (বারেক সরদার) মা (আছিয়া বেগম) ও ছোট ছেলে মফিজুরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। বাবা ও মা এর মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। ২৪ ঘন্টা পর তারা শঙ্কামুক্ত হবেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছেলে মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে বাড়িতে বা এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভয়নগর থানার অফিসার্স এনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর হামলাকারি পাষ- ছেলে মফিজুর রহমানকে পুলিশ খুঁজছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’