খুলনার পাইকগাছায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ হ্যাকারকে আটক করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। এলাকায় অনেকেই বলছে এসব বেকার যুবক রাতারাতি কোটি পতি বনে গেছে। একাধিক বিলাস বহুল গাড়ি ও বাড়ি বানিয়েছে। জানা যায়, উপজেলায় সোনাদানা ইউনিয়নের ছালুবুনিয়া গ্রামের ভগীরাথ সানার পুত্র হীরক সানা (২৪), সুশান্ত ঢালীর পুত্র অমিত ভারী (২৬), নুনিয়াপাড়া গ্রামের বিশ্বজিৎ মন্ডলের পুত্র দীনেশ মন্ডল (২৫) ও আকাশ সরদার (২৩), দক্ষিণ কাইনমুখি গ্রামের বিশ্বজিৎ বাছাড়ের পুত্র তপন বাছাড় (২৪), নিখিল মন্ডলের পুত্র চিন্ময় মন্ডল (২৪) দীর্ঘদিন ধরে আইন বহির্ভূত ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংক বীমা বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হতে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাব নম্বরে অর্থ জমা প্রদান বা উত্তোলন বা উত্তোলন করার জন্য জন্য কোন ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার অর্থ হান্তান্তর করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। যা এলাকায় বিষয়টি চাউর হলে প্রসাশন পর্যন্ত গড়ায়। প্রসাশন তাঁদের নজরদারিতে রাখেন। অবশেষে গত সোমবার রাতে থানা এসআই সুকান্ত কর্মকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পাইকগাছা বাজারে স্বপন সাধুর চায়ের দোকানে থেকে তাঁদেরকে আটক করে। এ সময় তাদের নিকট থেকে উন্নত মানের ৬টি মোবাইল সেট উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়ার পর এসআই সুকান্ত কর্মকার বাদী হয়ে আটক ৬ জনকে আসামি করে থানায় ৩০/৩৫ ডিজিটাল নিরাপত্তা ধারা ২০১৮ সালের আইন মোতাবেক মামলা করেছে। মামলা নং ৫, তারিখ ৫ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার আসামীদের পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান। মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. এফ এম এ রাজ্জাক বলেন, পুলিশ কর্তৃক ধৃত এসব বেকার যুবকরা হঠাৎ করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেলেন কি ভাবে এবং তারা নামিদামি গাড়ি, মূল্যবান মোবাইল ফোন ও বাড়ি গাড়ি কেনার টাকার উৎস কোথায় তা এলাকাবাসী জানতে চায়। এসআই তাকবির বলেন, মোবাইল ফোন ও ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অবৈধ ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থ হস্তান্তরের প্রমাণ পাওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, আটককৃতরা মোবাইল হ্যাক করে প্রতারণার বিষয় স্বীকার করেছে।