কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মাহিনী কুকিরিখিল গ্রামের আলী আশ্রাফের ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। একই বাড়ির ছোয়াব মিয়াব মিয়ার নেতৃত্বে তার ছেলে মিজানুর রহমান, মজিদ, জসিম, মিজানের শ্বশুর মোস্তফা, একই গ্রামের ভূট্টু, রাকিব, ইদ্রিস, আবু, ফয়েজ আহম্মেদ সহ ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ এ হামলায় অংশগ্রহণ করে বলে দাবী করেন জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ফারহানা বেগম। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের কুকিরিখিল গ্রামের মোজাফফর আলীর ছেলে আলী আশ্রাফ ৬এপ্রিল ১৯৬৩ সালে ২৬৮৩ নং দলিলে দেড় শতক ও ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৫ সালে ২৮২৮নং দলিলে ৫শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি ওই জমির দেড় শতক আলী আশ্রাফের ভাই ছোয়াব মিয়া ক্রয় সূত্রে মালিক দাবী করে দখলের চেষ্টা করলে আলী আশ্রাফের ছেলে জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে গত ২৯ মে কুমিল্লার আদালতে ছোয়াব মিয়া সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, মামলা নং ৩৩৭/২০২২ইং। গত মঙ্গলবার আদালতে মামলার ধার্য্য তারিখ থাকায় জাহাঙ্গীর কুমিল্লায় চলে যাওয়ার সুযোগে ছোয়াব মিয়া ও তার ছেলেদের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ হামলা চালিয়ে জাহাঙ্গীরের রান্নাঘর, বাথরুম ভাংচুর ও তার বসত ঘর থেকে নগদ ২লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ফারহানা বেগম ও তার অসুস্থ পিতা আলী আশ্রাফ আহত হন। পরে সন্ত্রাসীরা পূর্ব থেকে তৈরি করে রাখা একটি ঘরের কাঠের ফ্রেম বসিয়ে জায়গা দখল করে নেয়। এ সময় ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক পলাশ বড়ুয়া সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ঘটনার নেতৃত্বে থাকা সোয়াব মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভূক্তভোগী জাহাঙ্গীর বলেন, আমি কুমিল্লায় থাকায় তারা ভাংচুর লুটপাট চালায়। পরে সন্ধ্যায় থানা থেকে আমাকে ফোন করে নিয়ে এক দিনের মধ্যে আমার সব কিছুর ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়। কিন্তু এখন বাড়িতে এসে আমাকে উল্টো হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক পলাশ বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।