যশোরের অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌরসভার অর্ন্তভুক্ত অধিকাংশ সড়ক খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে যানবহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোর খানা খন্দ পানিতে তলিয়ে যায় সৃষ্টি হয় জন দূর্ভোগ। সড়কগুলো দিয়ে চলাচলে বাস, ট্রাক, এম্বুলেন্স, ইজিবাইক ও ভ্যানসহ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
জানা গেছে, কয়েকটি সড়কের মাঝে মাঝে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকায় চলাচল করতে যেয়ে র্দূঘটনার স্বিকার হয়েছেন। উপজেলার প্রেমবাগবাগ ইউনিয়নের উড়োতলা থেকে বনগ্রাম ৪ কিঃ রাস্তা, চেঙ্গুটিয়া বুড়োর দোকান থেকে বাহিরঘাট স্কুল পর্যন্ত ৪ কিঃ মিঃ, চেঙ্গুটিয়া থেকে চাপাতলা মালোপাড়া হয়ে নগরঘাট পর্যন্ত ৬ কিঃ মিঃ, চায়না মাকের্টের পাশে পালপাড়া পাকের গাতী হয়ে প্রেমবাগ মহাজেরপাড়া, চেঙ্গুটিয়া লবন মিলমোড় থেকে ঘোপেরঘাট, দত্তপাড়া হয়ে মিস্ত্রিপাড়া পর্যন্ত। ও পৌরসভার গুরুত্বপূর্ন বুইকারা জগোবাবুর মোড় থেকে সরখোলা সড়ক। এবং বিভিন্ন এলাকার ইটের সলিং ও আধাপাকা রাস্তা গুলোর নাজুক অবস্থা একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়। তাছাড়া এ অঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে থাকায় চলাচলে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। তাই এলাকাবাসী কয়েকটি রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে না। এ ছাড়া ও সরখোলা হয়ে মশিয়াহাটি রাস্তা বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এই সড়কটি অনেক টাকা ব্যয় করা হলেও কয়েক বছর কাজ করলেও তা রাস্তার পাশে থ্কাা ঘেরের কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। এসব রাস্তা গুলো বছর জুড়ে কোননা কোন সময় মেরামত করা হলেও পরে কেয়েকদিনের মধ্যে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। বর্ষা মৌসুমে এসব সড়ক দিয়ে ৪০/৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। কিন্তু এসব রাস্তা গুলো বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন মানুষ ও যানবাহন চলাচল করা দূর্র্বিসহ হয়ে পড়েছে। রাস্তার পিচ উঠে, ও নষ্ঠ হয়ে কাদা মাটি বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছ। এবং ছোট ছোট ডোবায় পরিনত হয়েছে। আবার দেখা গেছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কয়েকটি রাস্তায় ইটের র্যাবিশ, খোয়া, আধলা দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য কাজ করা হয়েছে। তা আবার কয়েক দিন যেতে না যেতেই বৃষ্টির পানিতে উঠে গেছে। ভানচালক ইকরাম হোসেন বলেন, ইট সলিং করেই গর্ত ভরাট করলেও তেমন কোন সুফল মেলে না। সামান্য বৃষ্টিতেই ভ্যানের চাকা গর্তে বসে যায়। ইজিবাইকচালক সুমন সরদার, আলমগীর হোসেন, মিলন হোসেন জানান, তাদের গাড়ি গুলো প্রতিদিন নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে। সরেজমিনে, ওই রাস্তা গুলো খারাপ অবস্থার কারণে মানুষ চলাচল করতে অনেক সমস্যায় পড়ছেন। তাছাড়াও রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে অনেক সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়তে দেখায় যায়। রাজু আহমেদ বলেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ হলে। তাকে হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যায় পোহাতে হয়েছে। অনেক রাস্তা ব্যবহার না হওয়ায় বতর্মানে রাস্তা গুলো ডোবানাল্য়া পরিনত হয়েছে। খুব শিঘ্রই রাস্তা গুলো প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ নজর না দিলে আমাদের চলাচল বন্দ হয়ে কষ্ঠ সাধ্য হয়ে পড়বে।
এ বিষয়টি নিয়ে প্রেমবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মফিউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের রাস্তা গুলো সংস্কার করা হবে। এ ব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বে)শ্যামল কুমার বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাকালীন উপজেলার সব রাস্তা গুলো পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি।