শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের রেশ ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কার্যালয়ে প্রবেশ করে মালামাল ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকালে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও সুমনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা সমিতির পিওনকে লাঞ্চিত করে বের করে দিয়ে সমিতির কক্ষের চেয়ার, টেবিলসহ গুরুত্বপূর্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। লুট করে নিয়ে যায় ল্যাপটপ, প্রজেক্টর।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষকদের দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ চলে আসছে। এনিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু ওই মামলার নিস্পত্তি না হতেই সমিতি ঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
যদিও এ ভাংচুর ও লুটের কথা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। তিঁনি মুঠোফোনে জানান, এ তিঁনি বা তাদের কোন লোকজন এ ঘটনায় জড়িত না। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে।
আর বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল আলম পলাশ জানান, তাদের অফিস সহকারীকে মারধর করে ওই দুই শিক্ষকসহ ১০-১৫ জন সমিতির মালামাল ভাংচুর করে লুট করে নিয়ে যায় মূল্যবান মালামাল। শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্ধের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ভাংচুর ও লুটের ঘটনায় তারা আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে।
তবে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে ভাংচুর বা লুটপাটের ঘটনায় থানায় কোন পক্ষ অভিযোগ দাখিল করেনি বলে পুলিশ জানায়।