একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন রংপুরের প্রথম শহিদ কিশোর শংকু সমজদারের স্মৃতি রক্ষার্থে ভাস্কর্য নির্মাণের দাবিতে জানিয়েছে মহানগর নাগরিক কমিটি। দাবি আদায়ে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে সংগঠনটি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এত বছর পরও শহিদ শংকু সমজদারের ভাস্কর্য নির্মিত হয়নি। এই ব্যর্থতার দায় আমরা কেউ এড়িয়ে যেতে পারি না। তার নামে একটি সড়ক রয়েছে কিন্তু প্রচারণা নেই, নাম ফলক নেই। সরকার শহিদ শংকুর পরিবারকে জমিসহ অর্থ সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু শংকুর প্রয়াণ দিবসে তাকে ঘিরে কোনো উদ্যোগ নেয়ার কথা ভাবেনি। মুক্তিযুদ্ধে রংপুরের প্রথম শহিদ কিশোর শহীদ শংকু সমজদারের স্মৃতি রক্ষার্থে অবিলেম্ব নগরীতে ভাস্কর্য নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি তুলে ধরেন নেতারা।
রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগের সঞ্চালনায়
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন চাঁদ, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, শহীদ পরিবারের সদস্য দেবদাস ঘোষ দেবু, অ্যাডভোকেট মাসুম হাসান, অ্যাডভোকেট খায়রুল ইসলাম বাপ্পী, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক বাবলু নাগ, সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মানিক, শ্রমিক নেতা রেদোয়ান ফেরদৌস, ছাত্রনেতা প্রহ্লাদ রায় প্রমুখ। এ সময় স্বাধীনতা দীর্ঘ ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও শহিদ শংকু সমজদারের নামে রংপুরে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে না তোলাসহ স্মৃতি রক্ষার্থে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাগরিক কমিটি।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ কারফিউ ভেঙে রংপুরেও হরতাল পালিত হয়। সেই আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে আলমনগর এলাকায় গুলিতে শহীদ হন স্কুলপড়ুয়া ১২ বছরের শিশু শংকু সমজদার।