মুলাদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নারী ও শিশু কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া (নদীর উত্তরপাড়) গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খেসারি খেতের সীমানা দিয়ে চলাচলকে কেন্দ্র করে চরমালিয়া গ্রামের মিন্টু ঢালী ও শাহ আলম সরদারের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে জানান স্থানীয়রা।
আহত মামুন মোল্লা জানান, তাঁর ভগ্নিপতি মিন্টু ঢালী বাড়ির কাছে একটি জমিতে খেসারি চাষ করেছে। ওই গ্রামের শাহ আলম সরদার ও তার লোকজন খেসারি খেত নষ্ট করে যাতায়াত করেন। এতে মিন্টু ঢালী বাধা দেন এবং খেত দিয়ে যাতায়াত করতে নিষেধ করেন। কথা না শোনায় শনিবার দুপুরের তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অবহিত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহ আলম সরদার ও তার লোকজন মিন্টু ঢালীর ওপর হামলা চালায়। তাঁর ডাকচিৎকারে স্ত্রী ফাতেমা ও অন্যান্যরা উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। এতে মিন্টু ঢালী, তার স্ত্রী ফাতেমা, শ্বশুর চান মিয়া মোল্লা, শ্যালক মামুন মোল্লা, শ্যালিকা ঝর্ণা ও মাকসুদাসহ ৮জন আহত হয়েছে।
অপরদিকে আহত শাহ আলম সরদার জানান, প্রায় এক বছর আগে মিন্টু ঢালীর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। তাদের একটি খেতের সীমানা দিয়ে চলাচল করতাম। চলতি বছর আমাদের হাটাচলার পথ বন্ধ করে ওই সীমানায় খেসারির বীজ ফেলেছে মিন্টু ঢালী। বাড়ির লোকজন ওই পথ দিয়ে চলাচল করায় শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মিন্টু ঢালী ও তার শ্যালক মামুন মোল্লার নেতৃত্বে ৮/১০জন দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এতে শাহ আলম সরদার, তার স্ত্রী আছিয়া, ছেলে সাবু, মিলনের স্ত্রী কল্পনা, রিন্টুসহ কমপক্ষে ৭জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শনিবার সন্ধ্যায় মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করে। এতের মধ্যে শাহ আলম সরদার, আছিয়া এবং মিন্টু ঢালী ও ফাতেমা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।